গত ৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে ওয়েলিংটনে যাওয়ার পথে ভেঙে পড়েছিল সিডিএস বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার। সস্ত্রীক সিডিএস সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয় ঘটনায়। পরে গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংও জীবন যুদ্ধে হেরেছিলেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রায় একমাস পার হতে চলল। তবে দুর্ঘটনার আসল কারণ এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার তদন্তে নামা যৌথবাহিনীর বিশেষ দলের তদন্ত অবশ্য শেষের পথে। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকেই তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারে তদন্তকারী দল।
সূ্ত্রের খবর, মিগ-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার আসল কারণ জানা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, সামনে কিছু দেখতে না পেয়ে পাইলট কোথাও জোরে ধাক্কা মেরে থাকতে পারেন, আর এর জেরে কপ্টারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারেন পাইলটরা। ঘন কুয়াশার কারণেই পাইলটরা এই অসুবিধার সম্মুখীন হন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তাই দুর্ঘটনার জন্য পুরোপুরি পাইলটকেও দায়ী করা যায় না। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়তেই সব কিছু বিশদে জানা যাবে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর বায়ুসেনার মিগ-১৭ ভি৫ কপ্টার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত-সহ ১৪ জনকে নিয়ে তামিলনাড়ুর কুন্নুরে নীলগিরির জঙ্গলে ভেঙে পড়ে৷ সেই ঘটনায় সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী-সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয় সেদিনই৷ ঘটনায় একমাত্র জীবিত ব্যক্তি গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংও দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিধ্বংসী আগুনে কপ্টার সাওয়ারীদের দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে ডিএনএ শনাক্তকরণের প্রয়োজন দেখা দেয়৷ এরপরই এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিংয়ের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল কুন্নুরের জঙ্গলে ওই দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে এই বিষয়ে নিয়মিত আপডেট জানানো হয়। দুর্ঘটনার পরের দিনই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় কপ্টারের ব্ল্যাকবক্স। সেই ব্ল্যাকবক্স থেকে ককপিটের কথোপকথন জানা যায়। পাশাপাশি এরজন্য ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের থেকেও মিলেছে তথ্য। এই সব তথ্যের সাহায্যেই দুর্ঘটনার আসল কারণ বোঝার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা।