মারিয়ো রিভেরার হাত ধরেই দু’ মরশুম আগে আইলিগে রানার্স হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই কোচের উপরেই ফের ভরসা রাখলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। আলেজান্দ্রো মেনেন্দেজ গার্সিয়ার সহকারী হিসেবে এসে দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রিভেরা। আইলিগ চ্যাম্পিয়ন করাতে না পারলেও, দলকে সাফল্য দিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। এ বার ম্যানুয়েল দিয়াজের পরিবর্ত হিসেবেও রিভেরাকেই বেছে নিল লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ।
দিয়াজ বিদায়ের পর থেকেই লাল-হলুদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বহু কোচের নাম বারবার শোনা গিয়েছে। তবে প্রতি বারই কিন্তু এগিয়েছিলেন রিভেরা। প্রত্যাশা অনুযায়ী তাঁকেই কোচ হিসেবে বেছে নিল এসসি ইস্টবেঙ্গল।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এর পিছনে অবশ্য বড় যুক্তিও রয়েছে। আসলে এর আগে মাত্র সাতটি ম্যাচে দায়িত্ব নিয়েই দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে বের করেছিলেন রিভেরা। আর এ বারও তথৈবচ দশা লাল-হলুদের। যে কারণে দলকে ফের খাদের কিনারা থেকে বের করে আনতে রিভেরার উপরেই আস্থা রাখল লাল-হলুদ। তবে আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের সহকারী হিসেবে ৩২টি ম্যাচে কাজ করেছেন তিনি।
চলতি আইএসএলে আট ম্যাচ খেলার পরেও জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। যে কারণে লাল-হলুদের হতাশা চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। আর টানা ব্যর্থতার কারণেই সরতে বাধ্য হন দিয়াজও। তাঁর পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন রেনেডি সিং। তবে নতুন বছরের প্রথম দিনই কোচ হিসেবে রিভেরার নাম ঘোষণা করা হয়।
যদিও রিভেরা এখনই কোচের দায়িত্ব নিতে পারবেন না। কেননা আইএসএল-এর নিয়ম অনুযায়ী ১০-১২ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে দলের নতুন সদস্যকে। তার পরেই দায়িত্ব নিতে পারবেন রিভেরা। ততদিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডিই দায়িত্ব সামলাবেন। এদিকে মারিয়ো ভারতের আসার জন্য শুক্রবারই ভিসা পেয়ে গিয়েছেন।