নয়া বছরের শুরুতেই বস্ত্রশিল্পে বাড়ছে না জিএসটি। শুক্রবার দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের মধ্যে এমনটাই জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের শিল্পমন্ত্রী বিক্রম সিং। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আবার নয়া বছরের ফেব্রুয়ারিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে হিমাচল প্রদেশের শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, ‘বস্ত্রশিল্পে জিএসটি বাড়ানোর বিষয়টি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল (পাঁচ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ)। নয়া বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবে জিএসটি কাউন্সিল।’ তবে কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা খোলসা করে বলেননি হিমাচল প্রদেশের শিল্পমন্ত্রী। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আগামী বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বস্ত্র ব্যবসায়ীদের চটানোর পথে হাঁটল না।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, নয়া বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বস্ত্রশিল্পে জিএসটি বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তা নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দেগেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি দাবি করেছিলেন, বস্ত্রশিল্পে জিএসটি বৃদ্ধির ফলে দেড় কোটি মানুষ কাজ হারাবেন। বন্ধ হয়ে যাবে এক লাখ কারখানা। অবিলম্বে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিলেন অমিত। যদিও অমিতের পালটা হিসেবে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, বস্ত্রশিল্পে জিএসটি পাঁচ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বস্ত্রশিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে জিএসটি ১৮ শতাংশ কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। তার ফলে ভারসাম্য বজায় থাকবে। সেইসঙ্গে শমীক দাবি করেছিলেন, মোদীর আমলে দেশে বস্ত্রশিল্পে ফুলেফেঁপে উঠেছে। গত দু’বছরে দেশে বস্ত্রশিল্পের বহর বেড়েছে ৩০০ শতাংশ।