ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল বারাসতের মহম্মদ আলির। বৃহস্পতিবার নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করল সিবিআইয়ের পাঁচ প্রতিনিধির একটি দল। এদিন দুপুরে বারাসত নবপল্লির সাত নম্বর ওয়ার্ডে মহম্মদ আলির স্ত্রী-সহ তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন তদন্তকারীরা।
যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা এই সাক্ষাৎ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। অন্যদিকে নিহতের পরিবারও এদিন মুখ খোলেনি সংবাদমাধ্যমের সামনে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসার কারণেই এদিন বারাসতে সিবিআইয়ের আগমন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভোটের ফল প্রকাশের পর দেড় মাস পার করে গত ২৪ জুন আক্রান্ত হন মহম্মদ আলি ও জুলফিকার আলি নামে দুই বিজেপি কর্মী। রাতে বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলেন। সেই সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। যদিও সেই অভিযোগ শাসকদলের তরফে অস্বীকার করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় দুই বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জুলফিকার আলি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে ৪৭ দিন টানা হাসপাতালে লড়াই করার পর মহম্মদ আলি মারা যান। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ, একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দীর্ঘ দিন ঘর ছাড়া ছিলেন মহম্মদ আলি। এর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে পুলিশের সাহায্যে ঘরে ফেরেন বারাসত পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ২৪ জুন রাতে ফের হামলা হয় এলাকায় বলে অভিযোগ ওঠে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মহম্মদ আলিকে। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিন রাতেই বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মহম্মদ আলিকে। তার পরেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মহম্মদ আলি।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত চলছে পুরোদমে। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলায় জেলায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি ধড়পাকড়ও চলছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করে সিবিআই।