টিভি দেখানোর নাম করে ৭ বছরের নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়ায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ নির্যাতিতা। তাকে প্রথমে পান্ডুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধেয় নাবালিকার মা, বাবা দুজনেই বাড়ির বাইরে ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় প্রতিবেশী যুবক সুজন বাউল দাস ওই নাবালিকাকে টিভি দেখতে দেওয়ার নাম করে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ি নিয়ে গিয়ে তারপর ৭ বছরের ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায় সে। ওই নাবালিকা যন্ত্রণায় কাতর হয়ে চিৎকার করে উঠলে টের পান প্রতিবেশীরা। নাবালিকার চিৎকারে ছুটে আসেন তাঁরা। উদ্ধার করেন ওই নাবালিকাকে। এরপরই খবর দেওয়া হয় নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা, মাকে। নির্যাততাকে প্রথমে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তারপর তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নির্যাতিতা।
এই ঘটনায় নির্যাততা নাবালিকার মামা পান্ডুয়া থানায় অভিযুক্ত সুজন বাউল দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে ওই নাবালিকার পরিবার। এরপরই গতকাল রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বিরাজ চৌধুরীও। ঘটনার খবর পেয়ে পান্ডুয়া হাসপাতালে যান তিনি। অভিযুক্তে বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ধৃতকে আজ চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর।