তিন বছরের সময়সীমা। তার মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সামরিক খাতে যতটা সম্ভব বিদেশি সমরাস্ত্র আমদানি কমাতে চাইছে। আপাতত ৩৫১টি সিস্টেম ও সামগ্রী আমদানিতে কাটছাঁট করতে চাইছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মোটের উপর প্রতি বছর আমদানি খাতে যে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় সেটাও বাঁচাতে চাইছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ২০২২ সালে ডিসেম্বর থেকে এই সময়সীমা শুরু হবে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এককথায় আত্মনির্ভর ভারত। এনিয়ে গত ১৬ মাসে তৃতীয়বার এই ধরনের তালিকা প্রকাশ করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মূলত দেশের মধ্যেই যাতে মিলিটারি হার্ডওয়্যারের উন্নয়ন ও প্রস্তুতকারক হাব গড়ে তোলা যায় সে ব্যাপারেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আপাতত ৩৫১টি আইটেমের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। যেমন মিসাইল হানার সতর্কতামূলক সেন্সর, প্রপেলান্টস, ইলেকট্রিকাল পার্টস, মিসাইল কন্টেনার, টর্পেডো টিউব লঞ্চার, গান ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম সহ নানা প্রতিরক্ষা সামগ্রী।
২০২২ সালে ডিসেম্বর মাস থেকে ১৭২টি সিস্টেম ও কম্পোনেন্টের আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে আরও ৮৯টি সামগ্রীর আমদানিতে কাটছাঁট করে দেওয়া হবে। ২০২৪ সালে ডিসেম্বর মাসে আরও ৯০টি আইটেম আমদানিতে ইতি টানা হবে। একবার সেই বিধিনিষেধ আরোপ হয়ে গেলে এই সমস্ত সামগ্রী ভারতীয় কারখানা থেকেই নিতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে আত্মনির্ভরতার জন্য প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানি যথেষ্ট পরিমাণ কম করা হবে। আত্মনির্ভরতার এই উদ্যোগ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর বাঁচবে।