বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, ও মণিপুরের সঙ্গে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন উত্তরাখণ্ডের জনগণ। ভোটমুখী উত্তরাখণ্ডে উন্নয়নের বার্তাকে আরও শক্তিশালী করতে, বৃহস্পতিবার সেখানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, দেবভূমে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হতে চলা ২৩ টি নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২৩ টি প্রকল্পের মধ্যে ১৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হতে চলা ১৭ টি প্রকল্প সেচ, রাস্তাঘাট, আবাসন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, শিল্পায়ন, নিকাশি, পানীয় জল সরবরাহের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। শিলান্যাস এর পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডে 63 নতুন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে পিঠরগড়ে, রাস্তা চওড়া করার একটি প্রকল্পও অন্যতম। নৈনিতালের নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নতমানের করার জন্য একটি বিশেষ প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা মোদিজির।
উদ্বোধন হতে চলা নতুন প্রকল্প গুলি মোট ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকে পড়ে থাকা লাখোয়ার মাল্টিপারপাস প্রজেক্টও শিলান্যাস করবেন মোদীজি। এই প্রকল্পের জন্য মোট ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, “দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করাকেই অগ্রাধিকার দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পই জাতীয় ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ৩৪ হাজার অতিরিক্ত জমিতে সেচকাজের ফলে ৩০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এরফলে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো ছয়টি রাজ্যে পানীয় জল সরবরাহ করা আরও সহজ হবে।” দেশের দূর-দূরান্তের স্থানগুলিতে সংযোগ উন্নত করতে, প্রায় ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকার একাধিক সড়ক সেক্টর প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।’
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, উধম সিং নগর জেলায় এইমস্ ঋষিকেশ উপগ্রহ কেন্দ্র এবং পিথোরাগড়ে জগজীবন রাম সরকারি মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন মোদীজি। এই দুটি হাসপাতাল যথাক্রমে প্রায় ৫০০ কোটি এবং ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে।
প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহেই নানা উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের সূচনা বা শিলান্যাস করতে উত্তর প্রদেশ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে বারবার প্রধানমন্ত্রীর মুখে, ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। মনে করা হচ্ছে উত্তরাখণ্ড গিয়েও সেই বার্তাই দেবেন নরেন্দ্র মোদি।