নাম কচি হলেও বেয়াড়াপনাতে সে সিদ্ধহস্ত, পাড়ার লোকজনের এমনটাই দাবি।
শেখ রফিকুল সোমবার ভরসন্ধ্যায় হাতে পিস্তল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকার লোকজন খবর দেয় থানায়। বর্ধমান থানার পুলিশ এসে অবশেষে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তাকে।
বর্ধমান শহরের বড় নীলপুর বাজারের বাসিন্দা শেখ রফিকুল পিস্তল নিয়ে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াত ও লোকজনকে হুমকি দিয়ে বেড়াতো বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। কারও গায়ে হাত তুলতেও নাকি পিছ না হয় না সে।
এসবের মধ্যেই সোমবার হঠাত্ই বড় নীলপুর বাজার এলাকায় হইচই শুরু হয়ে যায়। তাকে হাতে বন্দুক উঁচিয়ে ছুটে বেড়াতে দেখেন লোকজন বলে অভিযোগ। সেই বন্দুক একটি কাপড়ে জড়িয়ে এদিন ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। সকলে সেই দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে যান। এরপরই থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান, একটি বেলুন ফাটানোর বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা দে জানান, বোমা, বন্দুক নিয়ে প্রায়ই ভয় দেখাতো ওই যুবক। এলাকার বাসিন্দারা চান নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ যেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়।
সূত্রের খবর এই ধরণের সমাজবিরোধীদেরকেই জেহাদিরা টার্গেট করছে। ইতিপূর্বে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো থেকে একের পর এক বেপাত্তা হয়ে যায় কিচ্ছু যুবক। স্থানীয়দের একাংশের ধারণা এরা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছে।
তালিবানের আফগানিস্তান দখলের পরে রাজ্য থেকে বহু যুবক হঠাৎ নিঁখোজ হয়ে যায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই আফগানিস্তানে পারি জমিয়েছে বলে ধারণা অনেকের।