ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। একই সঙ্গে বিঁধলেন সদ্য মেয়র পদে শপথ নেওয়া ফিরহাদ হাকিমকে। এবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে তাঁর কটাক্ষ, “কলকাতার জনগণের ভোটে উনি জয়ী হননি, হয়েছেন ছাপ্পাতে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ অবিলম্বে ছাপ্পাশ্রী পুরস্কার দেওয়া হোক”।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড় থেকে নন্দীগ্রাম টাউন ক্লাব নতুন বাজার পর্যন্ত বিজেপির পদযাত্রা হয়। খোল-করতাল বাজিয়ে চলে সেই পদযাত্রা। তাতে পা মেলান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন পুজো উপলক্ষে এই বাজার সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বজরংবালির ভক্তবৃন্দের ভিড় ছিল দেখার মতো।
গত ৮ বছর ধরে নন্দীগ্রাম বজরং কমিটির উদ্যোগে এই হনুমান পুজো হয়ে আসছে। তবে গত বছর এই পুজোকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বেঁধেছিল। বহু মানুষ তাতে আহত হয়েছিলেন। সেই দিনের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুর মন্তব্য, “অতীতের কথা ভুলে গেলে চলবে না। এক বছর আগে কিছু মানুষের উস্কানিতে বজরং কমিটির মিছিলের উপর হামলা চালিয়েছিল যারা, তারা ঈশ্বরের শক্তিবলে আজ উধাও হয়ে গিয়েছে। আমি আজ আসার সময় সব ঘুরে ঘুরে এসেছি। রাস্তায় কোনও পশুকে দেখা যায়নি”।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী অতীতের ভেঙে পড়া ধর্মীয়স্থানগুলিকে সাজিয়ে তুলছে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি এরাজ্যের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিও প্রধানমন্ত্রী ও যোগীজির হাত ধরে সেজে উঠবে। তাই সকলে একজোট হয়ে নিজের ধর্ম সনাতনী ধর্মকে ধরে রাখুন”।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবার মুখ্যমন্ত্রীর গঙ্গাসাগর যাত্রাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর মন্তব্য, “গতবছর ভারত সেবাশ্রমের দিলীপ মহারাজকে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভারত সেবাশ্রম ভাল কাজও করে, সঙ্গে দাঙ্গা লাগায়। ওঁনার সেই বক্তব্য সারা রাজ্য দেখেছে লাইভ! বাংলাদেশ কাণ্ডে উনি চুপ থাকেন”। আবার কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে ফিরহাদ হাকিমের শপথ নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।
শুভেন্দুর সংযুক্তি, “আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি যেভাবে কলকাতা পৌরসভায় কষ্ট করে ছাপ্পা দিয়ে ভোটে জিতেছেন, তাতে অবিলম্বে ওঁনাকে, ফিরহাদ হাকিমকে ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কারে ভূষিত করা হোক”।