এবার থেকে বিজেপি-র যুব মোর্চার দায়িত্ব পেতে প্রয়োজন হবে বয়সের সার্টিফিকেটের। গেরুয়া সংগঠনে ‘নতুন মুখ’ আনতে তরুণ রক্তের খোঁজ বিজেপিতে। যুব মোর্চা ও মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা। যুব মোর্চার সভাপতি বয়স কখনওই ৩৫ বছরের বেশি হবে না। অন্য দিকে, মণ্ডল সভাপতির বয়স হতে হবে ৪৫-এর মধ্যে। পুরভোটের আগে সংগঠনকে দ্রুত ঢেলে সাজাতে চায় গেরুয়া শিবির।
পাখির চোখ পুরভোট, সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছে বিজেপি। এই নিয়ে সোমবারই একটি বিশেষ বৈঠক হয়। দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে স্থির করা হয়েছে ৩৫ বছর পর্যন্ত যুব মোর্চা করা যাবে। মহিলা মোর্চা করার ক্ষেত্রেও বয়সের উর্ধ্বসীমা ৩৫ বছরই। এরকম দেখা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সেও যুব মোর্চার আন্দোলনে রয়েছেন, তিনি কোনও পদের অধিকারী। বিজেপি এই জায়গাটাকে ঠিক করতে চায়। আন্দোলন-সংগ্রামে তারুণ্যের ছোঁয়া বজায় রাখতে চাইছে বিজেপি। এই একটা বিষয় করতে চাইছে ২০২৪ সালের নির্বাচনকে মাথায় রেখে।
সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করতে ইয়ং জেনারেশনের ওপর আস্থা রাখতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে ইদানীং দল অন্তর্ঘাতের সমস্যায় নাজেহাল। বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে সায়ন্তন বসুর নাম বাদ, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধন্দ, তদুপরি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন- এই সবেরই ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে বিজেপিকে।
এই অসন্তোষ বিজেপিকে ভাবাচ্ছে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সোমবারই বিজেপির বৈঠক ছিল। রাজ্য কমিটির সভাপতি, সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হয়। যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দলীয় স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করা হবে, যদিও সেই স্ট্র্যাটেজি প্রকাশ্যে আনা হবে না বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে বয়সের সীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় এই বৈঠকে।