সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার মা, ওষুধের ওভার ডোজই হল ‘কাল’

গুলজারের লেখা ‘রবিপার’ গল্পের সঙ্গে এই ঘটনার খানিকটা মিল আপাতভাবে পেয়ে যেতেই পারেন অনেকে। ঘটনা নিজের সন্তানকে ভুলবশত হত্যা করে ফেলার। ঘটনা এক মর্মান্তিক কাণ্ডের। খোদ মায়ের হাতে তাঁর পাঁচ মাসের সন্তানের এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে থানের কালওয়া এলাকায়। এমনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানে পুলিশের কাছে। তবে জেনে বুঝে নয়, সন্তানকে ‘ভুলবশত’ ওষুধের বেশি ডোজ দিয়ে ফেলেছিল বলে জানিয়েছে, অভিযুক্ত মা শান্তাবাই চভন। তার বিরুদ্ধে আপাতত রয়েছে সন্তান হত্যার অভিযোগ।

ঠান্ডা লেগেছিল পাঁচ মাসের সন্তান শ্রীকানের। সঙ্গে ছিল জ্বর, বমি। থানের কালওয়া এলাকার বাসিন্দা শান্তাবাই সন্তানের এমন অবস্থা নিয়ে খুবই বিচলিত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশকে। এরপর জ্বর কাটছিল না বলে, শান্তাবাই তার পাঁচ মাসের সন্তান শ্রীকানকে ওষুধের ওভার ডোজ দিয়ে দেয় অজান্তেই। এমনই দাবি করেছে অভিযুক্ত। পুলিশি জেরার মুখে সে জানিয়েছে। এই ওষুধ দিতেই তার সন্তান নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ভয়ে শিউরে ওঠে শান্তাবাইয়ের। মুহূর্তে নিজের দোষ ঢাকতে মৃত ছেলেকে একটি জলের ড্রামে রেখে দেয় সে। এরপর শুক্রবার বিকেলে তার স্বামীকে শান্তাবাই জানায়, ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বহু খোঁজের পরও সন্তানকে না পেয়ে শান্তাবাইয়ের স্বামী পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপরই পুলিশি তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসতে থাকে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার অভিযোগ পেতেই তারা সার্চ টিম তৈরি করে। পুলিশ ইনস্পেক্টর মনোহর আওহদ শুরু করে দেন খোঁজ। এলাকায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ততক্ষণেও শান্তাবাই নিজের মুখ খোলেনি। প্রতিবেশীরা জানায় কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল শিশুটি। এরপরই পুলিশের সন্দেহ হয়। প্রশ্ন ওঠে সন্তানের অসুখের কথা তার মা আগে কেন জানায়নি! এরপর জলের ড্রাম থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। একদিকে শিশুর শরীরের ময়নাতদন্ত চলে, অন্যদিকে, শিশুর মাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে পুলিশের কাছে আসল ঘটনা উঠে আসে। এরপর শান্তাবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পায় পুলিশ। পরে শান্তাবাই নিজেই যাবতীয় ঘটনার কথা জানায়। এরপর আইপিসির ৩০২ নম্বর ধারায় অভিযুক্ত শান্তাবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.