IND vs SA: রাহুলকে দেখে বাকিদের শেখা উচিত, বন্ধুর সেঞ্চুরিতে উচ্ছ্বসিত মায়াঙ্ক

সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই দুই ওপেনারের দৌলতে ড্রাইভিং সিটে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে যেখানে ওপেনারদের ব্যর্থতা নিয়ে এত কথা শোনা যাচ্ছিল, সেখানেই শুরুতে ১১৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে মজবুত ভিত প্রদান করেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং লোকেশ রাহুল।

টসে জিতে মেঘলা পরিবেশে ভারতীয় ওপেনাররা কেমন খেলেন, সেই নিয়ে সকলেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে প্রথম ঘণ্টায় আসাধারণ ধৈর্য্যের প্রদর্শন দিয়ে ভারতীয় ওপেনাররা কপিবুক স্টাইলে একের পর এক অফস্টাম্পের বল ছাড়তে থাকেন। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মায়াঙ্ক ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘আমরা ভাল ব্যাটিং করতে বদ্ধপরিকর ছিলাম এবং সেই কারণে নিজেদের খেলার মধ্যেও অনুশাসন নিয়ে আসি। পিচটা শুরুতে হালকা ভিজে থাকায় অতিরিক্ত বাউন্স হচ্ছিল মাঝে মাঝে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিং করা সহজ হয়।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

মায়াঙ্ক ও রাহুলের ওপেনিং পার্টনারশিপে ভর করেই ভারত দিনের শেষে তিন উইকেটের বিনিময়ে ২৭২ রান তুলতে পারে। মায়াঙ্ক ব্যক্তিগত ৬০ রানে আউট হলেও তাঁর বন্ধু রাহুল কিন্তু মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় ওপেনার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে নিজের সপ্তম টেস্ট শতরান হাতছাড়া করেননি। প্রথম দিনের শেষে তিনি ১২২ রানে অপরাজিত রয়েছেন। কর্ণাটক জুনিয়ার গ্রুপ থেকে একসঙ্গে ক্রিকেট খেলে আসা রাহুলের শতরানে উচ্ছ্বসিত মায়াঙ্ক। তাঁর ব্য়াটিং দেখে বাকিদের শেখা উচিত বলেও মনে করেন।

‘ও নিজের অফস্টাম্পটা কোথায় আছে সেটা ভালভাবে জানে। ও বলের লাইনে এসে দারুণভাবে বলগুলিকে ছাড়ছে। মানসিকভাবে হোক বা নিজের পরিকল্পনা গঠন, রাহুল কিন্তু সবকিছুতেই ভীষণ অনুশাসন মেনে চলে। ও প্রথমে একটা গোটা সেশন ব্যাট করার চেষ্টা করে এবং একবার সেট হয়ে গেলে পুরো ইনিংসে যাতে ও ব্যাট করতে, তার চেষ্টায় থাকে।’ এমনই দাবি মায়াঙ্কের। ভারত যে অবস্থায় রয়েছে, তা থেকে দ্বিতীয় দিনে অন্তত ৪৫০ রানের মতো করতে আগ্রহী হবে এবং তার জন্য রাহুলের ক্রিজে টিকে থাকাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.