বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে অবিশ্বাস্য লড়াই ঋষি ধাওয়ানদের। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শক্তিশালী তামলনাড়ুকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় হিমাচলপ্রদেশ।
বিজয় হাজারের হাই-স্কোরিং ফাইনালে তামিলনাড়ুকে ভিজেডি নিয়মে ১১ রানে পরাজিত করে হিমাচল। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে তামিলনাড়ু। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন তামিলনাড়ু ৪৯.৪ ওভারে ৩১৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে হিমাচল ৪৭.৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৯ রান তুললে মন্দ আলোয় ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। ভিজেডি নিয়মে হিমাচল চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ফাইনালের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করে হিমাচল। ৪০ রানের মধ্যে তামিলনাড়ুর ৪ জন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরায় হিমাচল। তবে তার পরেই বাবা ইন্দ্রজিৎকে সঙ্গে নিয়ে তামিলনাড়ুকে ম্যাচে ফেরান দীনেশ কার্তিক। তিনি ৮টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ১০৩ বলে ১১৬ রান করে আউট হন। ইন্দ্রজিৎ ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭১ বলে ৮০ রান করেন।
শেষবেলায় শাহরুখ খান ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৪২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। বিজয় শঙ্কর ১৬ বলে ২২ রানের যোগদান রাখেন। হিমাচলের হয়ে পঙ্কজ জসওয়াল ৪টি ও ঋষি ধাওয়ান ৩টি উইকেট নেন।
হিমাচলের হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শতরান করে জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করেন ওপেনার শুভম আরোরা। তিনি ১৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩১ বলে ১৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। প্রশান্ত চোপড়া করেন ২১ রান। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অমিত কুমার ৭৪ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। ঋষি ধাওয়ান ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৪২ রান করে নট-আউট থেকে যান। ১টি করে উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর, সাই কিশোর, মুরুদান অশ্বিন ও বাবা অপারিজত। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন শুভম।