কৃষকদের আন্দোলনকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে গত বছর ৩২ টি কৃষক সংগঠনের মিলিত মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। সংযুক্ত কিষান মোর্চা। এখন কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর আন্দোলনের পথ থেকে সরে গিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। তবে ওই মোর্চার কয়েকটি সংগঠন আবার নিজেদের মধ্যে হাত মিলিয়েছে। ফের এক যৌথ মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। মিলিতভাবে রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আসন্ন পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারে তারা।
প্রাথমিকভাবে সূত্রের খবর, ওই কৃষক সংগঠনগুলির মিলিত রাজনৈতিক মঞ্চের নাম দেওয়া হবে সংযুক্ত সমাজ মোর্চা। মাস খানেক বাদে পঞ্জাবে যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেখানে ১১৭ টি আসনে লড়তে পারে তারা। সংযুক্ত কিষান মোর্চা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে তারা কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। আর এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘন্টা পরেই সূত্র মারফত জানা যায়, কৃষকদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক মঞ্চ দেওয়ার জন্য সংযুক্ত সমাজ মোর্চা গঠনের কথা।
সংযুক্ত কিষান মোর্চার বক্তব্য তারা অরাজনৈতিকভাবে নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ের পথে হাঁটবে আগামী দিনে। ২০২২ সালের পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না সংযুক্ত কিষান মোর্চা, এই বার্তাও দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে এও বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন নির্বাচনে লড়াইয়ের উদ্দেশে সংযুক্ত কিষান মোর্চার নাম ব্যবহার করতে পারবে না।
সংযুক্ত কিষান মোর্চা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে নির্বাচনে লড়াইয়ে বিষয়ে ৩২ টি সদস্য সংগঠনের মধ্যে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে। সঙ্গে এও বলা হয়েছিল, যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী তারা আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করতে পারে। উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সক্রিয়ভাবে কৃষকদের হয়ে সওয়াল করে আসছিলেন। এক বিবৃতিতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছিল, “এসকেএম সারা দেশে ৪০০ টিরও বেশি বিভিন্ন মতাদর্শিক সংগঠনের একটি প্ল্যাটফর্ম, যা শুধুমাত্র কৃষকদের সমস্যাগুলির জন্য গঠিত হয়েছে। নির্বাচন বয়কটের কোনও আহ্বান দিচ্ছি না আমরা। আবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও বোঝাপড়াও নেই আমাদের।”