উধাও হয়ে গেল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রবেশ পথের ধাতব নেমপ্লেট। মনে করা হচ্ছে, চুরি করা হয়েছে ধাতব নেমপ্লেটটি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দ্রুত এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই, এই বিষয়টিকে ঘিরে শোরগোল উঠেছে।
উল্লেখ্য, ১৬ বছর আগে বিশ্বভারতী থেকে চুরি হয়ে যাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার আর ফিরে আসেনি। শত চেষ্টা করেও রাজ্য ও কেন্দ্র, চুরি হয়ে যাওয়া নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে আনতে পারিনি। নোবেল চুরি হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিশ্বভারতীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয় নজরদারি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর খুলে গিয়েছে ঠাকুরবাড়ির দরজা। দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক মিউজিয়ামে আসছেন। এই সবের মধ্যে থেকেই বুধবার রাত্রে উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী খবর পান, ধাতব নেমপ্লেট চুরি হয়ে গিয়েছে মূল প্রবেশ পথ থেকে।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ”এই হেরিটেজ বাড়িতে একটি পেরেক মারতেও সরকারি অনুমতি লাগে। ধাতব নেমপ্লেটটি স্ক্রু দিয়ে আঁটা ছিল। যে বা যারা সেটি খুলেছে তা যে চুরির উদ্দেশ্য, তা বলাই বাহুল্য।” তিনটি ফটক রয়েছে, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে প্রবেশ করার জন্য। বহুদিন ধরে বন্ধ পূর্ব দিকে ফটক। এখন শুধুমাত্র খোলা থাকে দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের ফটক দ্বার। পশ্চিমের ফটকটি ব্যবহার করা হয় সিংহ দরজা হিসেবে। দুটি স্তম্ভের দুই দিকে রয়েছে দুটি ধাতব নেমপ্লেট। এর মধ্যে থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে একটি নেমপ্লেট। বর্তমানে শুধু রয়ে গিয়েছে টেগোর শব্দটি।