দুই প্রার্থীর হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র বড়বাজার, লাঠিচার্জ করল পুলিশ, উত্তেজনা চরমে

কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে এবার পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হল বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা পুরসভার ৪৫ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড। এমনকী শাসক–বিরোধী দুই প্রার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। কোথাও তৃণমূল কংগ্রেস–কংগ্রেসের মধ্যে হাতাহাতি, কোথাও বিজেপি– তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ। এমনকী পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি প্রার্থী বলেও অভিযোগ। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে এই তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। তাতে রণক্ষেত্র অবস্থা দেখা দেয় এলাকায়।

এদিকে মীনাদেবী পুরোহিতের শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট তলব করেছে। আর দুই প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বড়বাজারের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাঁদের উপরও চড়াও হয় কংগ্রেসের সদস্যরা। তখনই লাঠিচার্জ করতে হয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে এই এলাকায় প্রচুর বহিরাগত ঢোকার অভিযোগ ওঠে। তারপর ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকে। তখন দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এই গণ্ডগোল সামাল দিতে গেলে পুলিশের উপর চড়াও হয় কংগ্রেসের দলবল। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বিজেপি এই অভিযোগ করেছে কংগ্রেসের দিকেই। তারা এই ঘটনায় যুক্ত নয়।

অন্যদিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা পুরসভা এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বুথ। বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ শাহর অভিযোগ, এক নির্দল প্রার্থীকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে বসতে দেওয়া হয়নি। ভয় দেখানো হয়েছে। সেক্টর অফিসার এবং প্রিসাইডিং অফিসারও প্রার্থীকে বসতে দেননি। ওই নির্দল প্রার্থীকে বুথে বসাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। কার্যত মারামারির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.