শনিবার বালাসোরে ওড়িশার উপকূলে অগ্নি প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে ভারত। সরকারি কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। অগ্নি-পি অগ্নি শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন প্রজন্মের উন্নত রূপ। এটি এক থেকে দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্য পাল্লার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি দ্বি-পর্যায়ের ক্যানিস্টারাইজড ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ছিল অগ্নি প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বিতীয় পরীক্ষা। বালাসোরের এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপে সকাল ১১টায় এই পরীক্ষাটি করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সফল মিসাইল পরীক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা ও গবেষণা উন্নয়ন সংস্থাকে (ডিআরডিও) অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং নিজের আনন্দ প্রকাশ করেছেন। ডিআরডিও-র তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, ‘সকাল ১১টা ৬ মিনিটে ডিআরডিও এই মিসাইলের পরীক্ষা করে। টেলিমেট্রি, রাডার, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল স্টেশন এবং পূর্ব উপকূলে অবস্থানরত ডাউনরেঞ্জ জাহাজগুলি ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ এবং পরামিতিগুলি ট্র্যাক এবং পর্যবেক্ষণ করে। মিসাইল নির্দিষ্ট গতিপথ অনুসরণ করে, সঠিক ভাবে মিশনের সমস্ত উদ্দেশ্য পূরণ করে।’
অগ্নি প্রাইম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন অগ্নি ৩-এর থেকে ৫০ শতাংশ কম এবং এটি রেল ও সড়ক থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা যায় এবং অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তা অনুসারে গোটা দেশের যেকোনও স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষার সময় পরমাণু সক্ষম কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি প্রাইমে অনেক নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মিসাইল পরীক্ষাটি উচ্চ স্তরের ছিল। মিসাইলটি সঠিক ভাবে তার মিশনের সমস্ত উদ্দেশ্য পূরণ করেছে।’ ২৮ জুন এই একই স্থানে প্রথম পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়।