হিন্দু হলেই যে মন্দিরের বাইরে দোকান খোলা যাবে, না হলে নয়, এমনটা কখনও সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, অ-হিন্দুদেরও মন্দিরের বাইরে ব্যবসা করার অধিকার আছে। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে রাজ্যের কুর্নুল জেলার শ্রীশৈলমের শ্রী ভ্রমরম্বা মল্লিকার্জুন স্বামী ভার্লা দেবস্থানমে অ-হিন্দুদের দোকানের লাইসেন্স এবং ইজারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
শীর্ষ আদালত নিজের সংক্ষিপ্ত আদেশে স্পষ্ট করেছে যে অ-হিন্দুদের লাইসেন্স বা ইজারা দেওয়ার বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের অন্য কোনও আদেশ অনুযায়ী কাজ করা বন্ধ করতে হবে রাজ্য সরকার এবং দেবস্থানম ব্যবস্থাপনাকে। এএস বোপান্না এবং ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এদিন বলেন, ‘আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে ভাড়াটে বা দোকান মালিকদের কেউই শুধুমাত্র তাদের ধর্মের ভিত্তিতে শপিং কমপ্লেক্স সহ নিলামে বা ইজারার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করা থেকে বাদ পড়বেন না।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এপি চ্যারিটেবল অ্যান্ড হিন্দু রিলিজিয়াস ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড এন্ডোমেন্টস অ্যাক্ট, ১৯৮৭-এ অধীনে ঘোষণা করেছিল যে কোনও ব্যক্তি হিন্দু না হলে মন্তিদর চত্বরে থাকা শপিং কমপ্লেক্সে দোকান কেনার জন্য টেন্ডার বা নিলামে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। অন্ধ্র সরকারের এহেন নির্দেশে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।
অন্ধ্র সরকারের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, ‘মন্দির চত্বরে মদের দোকান বা এই জাতীয় কিছু না রাখার নির্দেশ দেওয়া এক কথা তবে অ-হিন্দুরা মন্দিরের পাশে কোনও বাণিজ্যিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে পারবে না; এটা বলার কোনও যুক্তি নেই। আপনি কীভাবে বলতে পারেন যে একজন অ-হিন্দু সেখানে ফুল বা খেলনা বিক্রি করতে পারে না?’