সিরিজে ‘মন দাও’, প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে ‘বাজে কথা বলায়’ সৌরভ-বিরাটকে একহাত কপিল দেবের

জনসমক্ষে একে অপরের বিরুদ্ধে ‘বাজে কথা বলেছেন’। সেজন্য ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন কপিল দেব। এসব ‘বাজে কথা’ ছেড়ে ভারতীয় দলকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এবিপি নিউজে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘এই মুহূর্তে কারও দিকে আঙুল তোলার বিষয়টি মোটেও ভালো নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার সফর শুরু হতে চলেছে। দয়া করে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া হোক।’ সঙ্গে কপিল বলেন, ‘আমি বলব যে বোর্ড সভাপতি অবশ্যই বোর্ড সভাপতি। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হওয়াও বড় বিষয়। কিন্তু আমার মতে, জনসমক্ষে একে অপরের বিরুদ্ধে বাজে কথার বিষয়টি ভালো নয়, সেটা সৌরভ হোক বা বিরাট।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

গত সপ্তাহে বিরাটকে একদিনের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরদিনই সৌরভ দাবি করেছিলেন, ‘বিসিসিআই এবং নির্বাচকরা মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়ার জন্য বিরাটকে অনুরোধ করেছিল বিসিসিআই। কিন্তু ও সেটায় রাজি হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে সাদা বলের দুটি ফর্ম্যাটে দু’জন ভিন্ন অধিনায়ক রাখাটা ঠিক হবে বলে মনে করেননি নির্বাচকরা।’ সঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন, একদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বিরাটের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি সৌরভ। তারইমধ্যে বুধবার বিরাট বলেন, ‘যখন আমি বিসিসিআইকে বলি যে আমি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাই, তখন তা ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল। কোনওরকম দ্বিধাবোধ ছিল না। আমায় বলা হয় যে এটা প্রগতিশীল পদক্ষেপ। সেই সময় জানিয়েছিলাম যে আমি একদিনের ক্রিকেট এবং টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিতে চাই না। আমার তরফে বার্তা স্পষ্ট ছিল। আমি এটাও জানিয়েছিলাম, বিসিসিআই কর্তা এবং নির্বাচকরা যদি মনে করেন যে অন্য ফর্ম্যাটে আমার নেতৃত্ব দেওয়া উচিত নয়, সেটাও ঠিক আছে।’

সেই পরস্পরবিরোধী মন্তব্যের জেরে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বিরাটকে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আর্জি জানিয়েছেন কপিল। তিনি বলেন, ‘দয়া করে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কর। এখন দেশের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করাটাই ভালো। যা কিছু ভুল হয়েছে, তা নিয়ে পরে ভাবা যেতে পারে। আমার মনে হয়, কোনও বিদেশ সফরের আগে কোনও বিতর্ক তৈরি করা উচিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.