আজ থেকে দুই দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন দেশের সকল রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের সংগঠন। পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিতে নয় লক্ষ কর্মচারী রয়েছেন এবং তাদের সকলেই দেশব্যাপী ধর্মঘটে অংশ নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের প্রতিবাদেই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বর, এই দু’দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস। ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস হল অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস কনফেডারেশন (AIBOC), অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এম্প্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশিন (AIBEA) এবং ন্যাশনাল অর্গনাইজেশন অফ ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্স (NOBW) সহ নয়টি ইউনিয়নের একটি সংস্থা। বুধবার সরকারের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেছিল ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। সেই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে না আসায় ধর্মঘটের কথা নিশ্চিত করে ঘোষণা করা হয়। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) সহ বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই চেক ক্লিয়ারেন্স এবং ফান্ড ট্রান্সফারের মতো ব্যাঙ্কিং পরিষেবার উপর ধর্মঘটের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে তাদের গ্রাহকদের সতর্ক করেছে। এদিকে এসবিআই তাদের কর্মীদের এই ধর্মঘট নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার আর্জিও জানিয়েছিল। কানারা ব্যাঙ্ক, পিএনবি, পঞ্জাব এবং সিন্ধ ব্যাঙ্কও তাদের কর্মীদের ধর্মঘটে না যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। তবে সেই দিকে কর্ণপাত করেনি ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলি।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধর্মঘটের কারণে আগামী দু’দিন দেশে আর্থিক লেনদেন বড় রকমের ধাক্কা খাবে। এই সময় বন্ধ থাকবে এটিএম পরিষেবা। তবে হাসপাতালে বা তার আশেপাশে যেই এটিএমগুলি রয়েছে, সেগুলি এই ধর্মঘটের আওতায় থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ইন্টানেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও চালু থাকবে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার গোটা দেশের মতোই এরাজ্যেও সমস্ত সরকারি, বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রায় ছয হাজার শাখা ও বারো হাজার এটিএম বন্ধ থাকবে।