প্রেমিকার গুলিতে যে প্রেমিককে বিদ্ধ হতে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি যুবক–প্রেমিক। দু’জনের মধ্যে প্রণয় চলেছিল বেশ কয়েকবছর। এমনকী তারা কাছাকাছিও এসেছিলেন। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় প্রেমিকার বিয়ের প্রস্তাবে। যা অস্বীকার করেছিল প্রেমিক। আর তার পরেই তৈরি হয়ে যায় কার্যত ফিল্মি চিত্রনাট্য। এমনই ঘটনা ঘটল খোদ পশ্চিমবঙ্গের কাটোয়ায়। প্রেমিককে লক্ষ করে গুলি চালাল স্বয়ং প্রেমিকা! তাতে রক্তাক্ত হল প্রেমিক।
ঠিক কী ঘটেছে কাটোয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, ঠিক বুধবার সন্ধ্যেবেলা। হঠাৎই কেঁপে উঠল এলাকা গুলির শব্দে। প্রেমিককে গুলি করে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল প্রেমিকা। ভাগ্যের জোরে প্রাণ বাঁচল প্রেমিক লালচাঁদ শেখ। প্রেমিকা মনীষা খাতুন ফোন করে প্রেমিক লালচাঁদ শেখকে ডেকে এনেছিল। বলেছিল, তোমার সঙ্গে শেষবার কিছু কথা বলতে চাই। তারপর চলে যাব। আর বিরক্ত করব না। তাতে বিশ্বাস করেছিল প্রেমিক লালচাঁদ। বুঝতে পারেনি তাকে সরিয়ে দেওয়ার ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে। তাই কাটোয়া শহরের সার্কাস ময়দান এলাকায় দেখা করতে আসে লালচাঁদ। সেখানে প্রথমে লালচাঁদকে চুম্বন করে মনীষা। তারপরেই ওয়ান শাটার বন্দুক বের করে চালিয়ে দেয় গুলি। পালাবার চেষ্টা করে লালচাঁদ। তাতেই গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে লালচাঁদের পেট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। বেঁচে যায় লালচাঁদ।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
অভিযোগ, কাটোয়ার যুবক লালচাঁদ শেখের সঙ্গে মনীষা খাতুনের তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি হয়নি প্রেমিক লালচাঁদ। তখন কাটোয়া ছেড়ে চলে যায় প্রেমিকা মনীষা। কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে কাটোয়ার বাড়িতে ফেরে মনীষা। তারপর প্রেমিক লালচাঁদকে ফোন করে ডাকে। সেখানে লালচাঁদকে গুলি করা হয় বলে জানিয়েছে সে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মনীষা কর্মসূত্রে ঝাড়খণ্ড চলে যায়। এমনকী বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তার। বেশ কয়েকবছর সেখানে থাকার পর সম্প্রতি ফিরে এসে এই ঘটনা ঘটায় মনীষা। মনীষা খাতুনকে ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওয়ান শাটারটি কোথা থেকে পেল মনীষা? কেন এই পরিকল্পনা? ঝাড়খণ্ডের কেউ জড়িত আছে কী? তদন্ত শুরু হয়েছে।