সমর্থককে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন কলকাতা পুরসভার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর এক অনুগামীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ।
অভিযোগ, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ রামচন্দ্র গায়েন নামে এক ব্যক্তিকে রামময় রোডের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান দুই পুলিশ কর্মী। সিভিল ড্রেসে ছিলেন দু’জনই। রামচন্দ্র গায়েনের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন রামচন্দ্র।
এবার পুরনির্বাচনে ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরই তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপ বক্সীর বিরুদ্ধে লড়ছেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। রামচন্দ্র গায়েন সচ্চিদানন্দবাবুর হয়েই প্রচার কর্মসূচিতে নামছেন।
অভিযোগ, সেই কারণে রামচন্দ্র গায়েনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শেক্সপিয়র সরণী থানায় নিয়ে গিয়ে সচ্চিদানন্দবাবুর সমর্থককে হেনস্থাও করা হয় বলে অভিযোগ। সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ও গাড়ি চালায়। এসে যতটা সময় পায় প্রচার করে। সোমবার রাতে বাড়িতে বসে ভোটার স্লিপের কাজ করছিল। সকলেই তো তৃণমূল ছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার জন্য এরা যা করেছে তা বলার নয়, ভোলারও নয়। এখন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে এদের উপরই। আমার হয়ে প্রচার করছে সেটাই রাগের কারণ।”
নির্দল প্রার্থী হিসাবে দেওয়া মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করার বার্তা দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও দু’জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেননি। একজন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়, অন্যজন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তাঁদের বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে দল।
৭২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সাল থেকে তিনি আর তৃণমূলের সদস্য নন। তাঁর সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। সুতরাং বহিষ্কারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরও পিছপা হতে চাননি তিনি। নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার-সহ তৃণমূলের অনেককেই জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি এখনও নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক বলেই মনে করেন।
সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বহিষ্কার প্রসঙ্গে দাবি করেছিলেন, তিনি যখন তৃণমূলেই নেই, তখন বহিষ্কার করার কোনও প্রশ্নও আসে না। তাঁর দাবি, নিজেকে তিনি কখনই তৃণমূলের নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন না, সমর্থক হিসেবেই উল্লেখ করেন। তাই তাঁর কথায়, বহিষ্কার করার বিষয়টাই অবাস্তব।