গীতা শব্দটির শাব্দিক অর্থ হল যেটি গান করা হয়েছে। মহাভারতের ভীষ্ম পর্বের আঠারোটি অধ্যায় একত্রে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা নামে প্রসিদ্ধ। শ্রীমান্ ভগবান যেটি গান করেছেন (উপদেশ দিয়েছেন) সেটি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। এই অংশে ১৮ অধ্যায়ে প্রায় ৭০০ শ্লোকের মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ উপনিষদের সার প্রতিপাদন করেছেন। বলা হয় উপনিষদ হচ্ছে গাভী, শ্রীকৃষ্ণ দুগ্ধ দোহনকারী, অর্জুন নামক বৎসকে (বাছুর) সামনে রেখে সুধী সাধকদের উপকারার্থে ভগবান গীতা নামক দুগ্ধ দোহন করেছেন।
সর্বোপনিষদো গাবো দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ।
পার্থো বৎসঃ সুধীর্ভোক্তা দুগ্ধং গীতামৃতং মহৎ।।
গীতা শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ। এটি বিশেষণ পদ। প্রকৃতস্থলে এর বিশেষ্য হল “উপনিষদ্”। উপনিষদ্ যেহেতু স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ, সেজন্য গীতাও স্ত্রীলিঙ্গ। যে বিদ্যা নিঃশেষে অবিদ্যা নাশ করে ব্রহ্মের সমীপে নিয়ে যায় তাকে উপনিষদ্ বলা হয়। গীতাতে প্রতিপাদিত তত্ত্বও সংসারের মায়া নাশ করে ব্রহ্মপ্রাপ্তিতে সাহায্য করে। সেজন্য একেও উপনিষদ্ বলা হয়। কিন্তু এটি শ্রুতি নয়, বরং শ্রীমদ্ভগবান্ কর্তৃক গীত উপনিষদ্। সেজন্য সংক্ষেপে একে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বলা হয়।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ১৮ অধ্যায়ে এই জগতের অনিত্যতা, আত্মার নিত্যতা, মানুষের কর্তব্য, এই অনিত্য সংসারে জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তির উপায়, আহারাদির নিয়ম, মনঃসংযমের উপায়, অহিংসা প্রভৃতি পালন, কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ প্রভৃতি উপদেশ করা হয়েছে। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাকে উপনিষদের সার বলা হয়। প্রায় সমস্ত দর্শন সম্প্রদায় গীতাকে একটি প্রামাণিক গ্রন্থ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। শঙ্করাচার্য, রামানুজ, মধ্ব থেকে শুরু করে বাল গঙ্গাধর টিলক, অরবিন্দ প্রমুখও গীতার ব্যাখ্যা করেছেন।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাতে ১৮টি অধ্যায় রয়েছে। গীতার অধ্যায়গুলিকে “যোগ” বলা হয়। একেকটি অধ্যায়ে অর্জুনের প্রশ্ন ও শ্রীভগবানের উত্তর আকারে জ্ঞান, কর্ম, ভক্তি, রাজযোগ আদি নানাবিধ বিষয়ের বিস্তৃত বর্ণনা রয়েছে। যুদ্ধভূমিতে এই উপদেশ প্রদত্ত হয়। এই যুদ্ধ ছিল ধর্মযুদ্ধ। ধর্ম প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ।
আমাদের সমস্ত ধর্মশাস্ত্রের উপদেশের মূল উদ্দেশ্য আত্যন্তিক দুঃখনিবৃত্তি। এই সংসারে জন্ম, মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তিলাভই আত্যন্তিক দুঃখনিবৃত্তি। ইন্দ্রিয় সংযম দুঃখনিবৃত্তির পথ নেই। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্ত্যের ভাবনায় একটি মৌলিক পার্থক্য এই মোক্ষের ধারণা। পাশ্চাত্ত্যের শিক্ষা হল, সংসারে থাকতে হলে প্রকৃতিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, প্রকৃতি মানুষের ভোগের জন্য ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট। অন্যদিকে ভারতীয় ভাবনার মূল শিক্ষা হল, মানুষ প্রকৃতিরই অঙ্গ। প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। প্রকৃতিকে জয় করার উপায় হল নিজের ভোগলিপ্সার নিয়ন্ত্রণ।
এখানে এরকম ভাবলে ভুল হবে যে, পাশ্চাত্ত্য দর্শন কেবল ভোগের শিক্ষা দেয় এবং হিন্দু শাস্ত্র কেবল ত্যাগের শিক্ষা দেয়। পাশ্চাত্ত্যে বিকশিত বিভিন্ন দর্শন শাস্ত্রেও বহু ক্ষেত্রে ইহজীবনে ত্যাগ ও সংযমের উপদেশ দিয়ে থাকে। কিন্তু, পাশ্চাত্ত্যের সঙ্কল্পনায় ইহজীবনের ত্যাগ ও সংযমের দ্বারা মৃত্যুর পরে পরলোকে অনন্ত ও অসীম ভোগ লাভ করা যায়। অন্যদিকে হিন্দু সঙ্কল্পনায়, ইহজীবন বা পরলোকেও ভোগ কখনওই জীবনের প্রধান লক্ষ্য হতে পারে না। কারণ, ভোগ প্রকারান্তরে এক প্রকার দুঃখ। সেজন্য ভোগলিপ্সাকে জয় করেই যথার্থ আনন্দের আস্বাদন সম্ভব।
ভোগলিপ্সা জয় করার উপায় ইন্দ্রিয়সংযম। কিন্তু বিষয়ভোগের প্রতি ইন্দ্রিয় ও মনের আসক্তিকে হিন্দু শাস্ত্র অস্বীকার করেন না। এমনকি সেই আসক্তি বা কামনাকে বলপূর্বক অবদমন করার কথাও শাস্ত্র বলেন না। কারণ, অবদমিত কামনা বা বিষয় বাসনা আসক্তিকে নষ্ট করতে সক্ষম নয়। চিত্তে বিষয়ের প্রতি প্রবল আকর্ষণ সত্ত্বেও ইন্দ্রিয়গুলিকে বলপূর্বক সংযত করে রাখার প্রচেষ্টাকে গীতা মিথ্যাচার আখ্যা দিয়েছেন। (গীতা ৩/৬)
সেজন্য হিন্দু শাস্ত্র ত্যাগ ও সংযম পূর্বক ভোগের উপদেশ দিয়ে থাকেন। চিত্তশুদ্ধিই মুক্তির পথ। শুদ্ধচিত্ত জীবই কেবলমাত্র ভোগবাসনা থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেন। সেজন্য শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় কর্মযোগের উপদেশই প্রধান। কর্মযোগ হল নিঃস্বার্থ ভাবে শাস্ত্রোপদিষ্ট কার্যে নিজেকে সমর্পণ। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই যে ভোগ হয় সেই ভোগ একপ্রকার যজ্ঞস্বরূপ। (দ্র. গীতা ৪/২৬)
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রধান উপদেশগুলির অন্যতম হল যজ্ঞচক্র থেকে বিচ্যুত না হওয়া। গীতা বলছেন–
এবং প্রবর্তিতং চক্রং নানুবর্তয়তীহ যঃ।
অঘায়ুরিন্দ্রিয়ারামো মোঘং পার্থ স জীবতি।। (৩/১৬)
কারণ, যজ্ঞচক্রই সৃষ্টিচক্র চালনার মূল সূত্র। যজ্ঞচক্র চালনার রহস্য হল শাস্ত্রোপদিষ্ট কর্ম থেকে বিরত না হওয়া। সাধক জ্ঞান, ভক্তি ইত্যাদি যে কোন মার্গেই নিজ সাধনায় সিদ্ধিলাভ করতে পারে। কিন্তু গীতাশাস্ত্রের মূল উপদেশ জ্ঞান-ভক্তি-সংযম সমন্বিত কর্মের উপদেশ। বাল গঙ্গাধর তিলক রচিত গীতার ব্যাখ্যার অনুবাদের ভূমিকায় শ্রীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, “ভাষ্যকারদের মধ্যে কেহ বা জ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়াছেন, কেহ বা ভক্তিতে প্রাধান্য দিয়াছেন, কেহ বা সন্ন্যাসকে প্রাধান্য দিয়াছেন। ভগবদ্গীতা এই সমস্তের সমন্বয় বলিলে অত্যুক্তি হয় না। কিন্তু এই সমন্বয়সাধনের মুখ্য তাৎপর্যটা কি, তাহারই তিলক তাঁহার গীতারহস্যে আভাস দিয়াছেন। তাঁহার মতে কর্ম্মই গীতার মধ্যবিন্দু–মুখ্য উদ্দেশ্য। ভগবান অর্জ্জুনকে সর্ব্বতোভাবে বুঝাইয়াছেন যে, জ্ঞান ও ভক্তি, কর্ম্মের পরিপন্থী নহে, পরন্তু কর্ম্মের পরিপোষক ও সহায়; জ্ঞান ও ভক্তি কর্ম্মে গিয়া পরিসমাপ্ত হয় ও পরিণতি লাভ করে।… কর্ম্মই যে গীতার প্রধান কথা তাহাতে সন্দেহ নাই,– কেননা অর্জ্জুনকে যুদ্ধকার্যে প্রবৃত্ত করাই শ্রীকৃষ্ণের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। শুধু ‘কর্ম্ম করিবে’ বলিলে ঠিক সমন্বয় হইত না; ভগবান বলিয়াছেন, যাহা স্বধর্ম্ম অনুমোদিত সেই কাজই অবশ্য কর্ত্তব্য এবং ঈশ্বরের হস্তে ফল সমর্পণ করিয়া, নিষ্কামভাবে যে কর্ম্ম করা হয়, সেই কর্ম্মই শ্রেয়।”
এই কথা সর্বজনবিদিত যে, অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের মূল প্রেরণাস্রোত– তিলকের গীতারহস্য এবং বিবেকানন্দের কর্মযোগ– উভয় গ্রন্থেই ছিল নিষ্কাম কর্মের মর্মবাণী। এই প্রেরণাতেই বিপ্লবীরা তাঁদের কর্ম করে গিয়েছেন, জীবন বিসর্জন দিতে পিছপা হননি।
প্রসঙ্গতঃ, আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ সশস্ত্র বিপ্লবীদের কর্মকাণ্ডকে ‘সহিংস’ বলে উল্লেখ করে থাকি। কিন্তু, বাস্তবিক বিচারে তাঁদের কাজের মধ্যে কোথাও হিংসা বা হিংস্রতা ছিল না। তাঁরা স্বধর্ম অনুসারে নিজেদের কর্ম করেছেন। তাঁদের কর্মে সেই অর্থে কোন হিংস্রতার চিহ্ন ছিল না। কারণ তাঁরা যা করেছেন সেখানে কোথাও ব্রিটিশদের প্রতি ঘৃণা বা জুগুপ্সা ছিল না। বরং, স্বধর্ম, স্বদেশ, স্বজাতি ও স্ব-সংস্কৃতির প্রতি অনাবিল শ্রদ্ধা ছিল ছিল। স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে, জালিয়ানওয়ালাবাগের মত নৃশংস ঘটনায় ব্রিটিশ রাজশক্তির মধ্যে যে জুগুপ্সা ছিল, অলিন্দ যুদ্ধ কিংবা ভগৎ সিং কর্তৃক পার্লামেণ্টে বিস্ফোরণে সেই রকম ঘৃণা বা জুগুপ্সা ছিল না।
এই ধর্মবুদ্ধিপ্রেরিত স্বধর্ম ও স্বরাজ প্রতিষ্ঠার ঘৃণাহীন ও মাৎসর্যহীন সংগ্রামের প্রেরণাস্রোত ছিল শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। হিন্দু শাস্ত্রে আধ্যাত্মিকতা দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে অসম্পৃক্ত একেবারে বিচ্ছিন্ন কোন ভাব নয়। আধ্যাত্মিকতা কেবল পরলোকের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। হিন্দু দর্শনে আধ্যাত্মিকতা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত। দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার স্পর্শটিই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার মূল সূত্র। ভোগলালসাহীন ইহজীবনই পরলোকের অদৃষ্ট সুখের সাধন– এই উপদেশ হিন্দু শাস্ত্রে নেই। বরং, ভোগহীন জীবন জড়ের সমানই উপহাসাস্পদ বলেই বিবেচিত। জীবের মধ্যে ঈশ্বর নিজেই ধর্মাবিরুদ্ধ কামনা রূপে প্রতিষ্ঠিত (গীতা ৭/১১)। ইহজীবনে শাস্ত্র নির্দিষ্ট বা স্বধর্ম অনুসারী কর্তব্য পালন ও অকর্তব্য থেকে নিবৃত্তির মাধ্যমে, বৃহৎ স্বার্থকে সম্মুখে রেখে নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমেই জীবের আত্যন্তিক কল্যাণ সাধিত হয়– এটিই গীতার মূল তত্ত্ব। সেজন্য শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা সংগ্রামীদের প্রেরণাস্থল হয়ে উঠতে পেরেছে। এই গীতাই তাদেরকে শিক্ষা দিয়েছে সাত্ত্বিক অনাড়ম্বর জীবন যাপন করেও হত্যা ও হিংসার তামসিক ভাবে জারিত রাজসিক কর্মে প্রবৃত্ত হতে। সেই কারণেই ভারতবর্ষের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অহেতুক ও নিন্দিত নৃশংসতার দৃষ্টান্ত বিরলতম। সশস্ত্র বিপ্লবীরা বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়ানো রাষ্ট্র ও সমাজের অপরাধীদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করতেন না। নিজেদেরকে পরমেশ্বরের নিমিত্তভূত মেনে রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণের সুমহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বন্দুকের ট্রিগার টানতেন মাত্র।
যুগ যুগ ধরে এই ধারণাই হিন্দু সমাজের মুখ্য প্রেরণা। ভগবান গীতায় বলেছেন যে, এই পরম্পরায় আগত জীবন রহস্যের জ্ঞান কালের দীর্ঘ কুটিল আবর্তে হারিয়ে গিয়েছে। সেই জ্ঞানকেই তিনি পুনরায় অর্জুনের সামনে প্রকট করছেন (গীতা ৪/৩)।
কর্মহীনতা হিন্দুর আদর্শ নয়। গীতা বলেছেন, এক ক্ষণের জন্যও কোন জীব কর্ম না করে থাকতে পারে না (গীতা ৩/৫)। হিন্দু দর্শনে আধ্যাত্মিকতার দুইটি রূপ– ১. আত্মতত্ত্বের সর্বব্যাপকতাকে উপলব্ধি করার সাধনা, ২. আত্মতত্ত্বের সর্বব্যাপকতাকে উপলব্ধি করে সেই দর্শনের আলোকে কৃতিশীল জীবন যাপন। ভাববাদ বা বাস্তবকে উপেক্ষা করে কেবল অদৃষ্ট ফলের আকাঙ্ক্ষায় জীবন যাপনের উপদেশ গীতা প্রদান করেন না। গীতা একাত্ম মানবজীবনের সর্বাঙ্গীণ উন্নতির চিরন্তন ও সনাতন উপদেশের সার।
গীতা একটি বিশাল গ্রন্থ। সম্পূর্ণ গ্রন্থের একটিই মাত্র নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য তত্ত্ব রয়েছে। ভাষ্যকাররা নিজ নিজ মতের অনুকূলে গীতাকে ব্যাখ্যা করেছেন। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্রের মৌলিক গ্রন্থ উপনিষদ বা গীতার এটি একটি বিশিষ্ট সৌন্দর্য যে, তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। কিন্তু সমস্ত ব্যাখ্যা সকলের জন্য উপযুক্ত নয়। বাস্তবে বর্তমানে সামাজিক পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়েই স্বামী বিবেকানন্দের গীতা বিষয়ক আলোচনা অত্যন্ত উপযুক্ত বলেই মনে হয়। স্বামীজী গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলাকে শ্রেষ্ঠতার আসনে বসাননি। বরং গীতাকে সঠিক ভাবে উপলব্ধি করার জন্য শক্তি সঞ্চয় করার জন্য ফুটবল খেলার কথা বলেছন। গীতা দুর্বলের সান্ত্বনা নয়। গীতা শক্তিশালীর প্রেরণা। গীতা দুর্বলতা পরিত্যাগ করে নির্ভয়ে কর্মে প্রবৃত্ত হওয়ার উপদেশ দেয়। সেজন্য বর্তমানের নৈরাশ্যে নিমজ্জিত মানুষের জীবনে গীতা সঠিক ঔষধ রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে।
লিখেছেন – রাকেশ দাস