Ticket Booking: ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে টিকিট ভাড়া কি কমতে চলেছে? জানিয়ে দিল ভারতীয় রেল

সংরক্ষিত টিকিট থাকলে তবেই ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে যাতায়াত করা যাবে। অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়ে দিল ভারতীয় রেল। তার ফলে বেশি ভাড়া দিয়েই যাত্রীদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে যাতায়াত করতে হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগে যে শ্রেণিতে ভাড়া কম ছিল।

সংসদে একটি প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যাত্রীবাহী ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে যাতায়াতের জন্যও আসন সংরক্ষণ করতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে যে ছাড় দেওয়া হয়, শুধুমাত্র তাতেই অন্যথা হবে। নাহলে ভারতে করোনা আছড়ে পড়ার পর থেকে যে যাতায়াতের নিয়ম আছে, সেই নিয়ম মেনেই ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে সফর করতে হবে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

তবে দ্বিতীয় শ্রেণির সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নয়, ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে যে ছাড় দেওয়া হত, সেক্ষেত্রেও পুরনো নিয়ম এখনই কার্যকর করছে না রেল। ইতিমধ্যে সংসদে লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ট্রেনের টিকিটে যে ছাড় দেওয়া হত, তা ফের চালু করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আর্জি জানানো হয়েছে। তবে সেই ছাড় দেওয়ার নিয়ম পুনরায় চালু করার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি। তিনি বলেছেন, ‘(করোনাভাইরাস) মহামারীর পরিস্থিতি এবং করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে গত বছরের মার্চ থেকে সব শ্রেণির যাত্রীদের (বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রী চারটি শ্রেণি এবং রোগী ও পড়ুয়াদের ১১ শ্রেণি ছাড়া) টিকিটের উপর থেকে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছিল।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘সব ধরনের ছাড় ফের চালু করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আর্জি এসেছে। বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে তা সম্ভবপর নয়।’

এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগে ৫৪ শ্রেণিতে ছাড় দিত রেল। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তা তুলে নেওয়া হয়। সম্প্রতি পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের চন্দ্রশেখর গৌরের আরটিআইয়ের ভিত্তিতে ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৭,৮৫০,৬৬৮ প্রবীণ নাগরিক ভারতীয় রেলে যাতায়াত করেছেন। যাঁরা পুরো ভাড়া দিতে বাধ্য দিয়েছেন। অতীতে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় পুরুষরা (প্রবীণ নাগরিক) ৪০ শতাংশ এবং মহিলারা (প্রবীণ নাগরিক) ৫০ শতাংশ ছাড় পেতেন। সেক্ষেত্রে পুরুষদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়সসীমা ছিল ৬০ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ছিল ৫৮। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ট্রেনে যাতায়াত কমানোর জন্য সেই ছাড় তুলে দেয় ভারতীয় রেল। ট্রেন পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও যা এখনও চালু করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.