মাদক মামলায় ফের বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে গত ২রা অক্টোবর কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এই তারকা পুত্র। এরপর মাদক আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে, যদিও আরিয়ানের কাছ থেকে মেলেনি কোনওরকম নিষিদ্ধ মাদক। এরপর প্রায় একমাস হেফাজতে কাটিয়েছে আরিয়ান। ২৮ অক্টোবর একগুচ্ছ শর্তসহ আরিয়ান খানকে জামিনে মুক্তি দেয় বম্বে হাইকোর্ট।
আরিয়ানের জামিনের অন্যতম শর্ত এনসিবির ব্যালাড এস্টেটের অফিসে সাপ্তাহিক হাজিরা। প্রতি শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে এনসিবির মুম্বই সদর দফতরে হাজির হতে হয় আরিয়ানকে। কিন্তু সেই শর্তে বদল চান আরিয়ান। শুক্রবার সেই আর্জি নিয়ে বম্বে হাই কোর্টে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন শাহরুখ পুত্র। দেশাই করিমজি অ্যান্ড মোল্লা ল ফার্মের তরফে আরিয়ানের হয়ে এই আর্জি আদালতে জমা পড়েছে। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কিন্তু কেন এই শর্তে বদল চাইছেন আরিয়ান? আবেদনে শাহরুখ পুত্র জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই এই মাদকমামলা এনসিবির মুম্বই দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লির এক বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে। পাশাপাশি প্রতি শুক্রবার এনসিবির অফিসে হাজিরা দেওয়ার সময় মুম্বই পুলিশের আটোসাঁটো নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হয় তাঁকে, দফতের বাইরে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রচুর সংবাদকর্মী। ফলে সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন আরিয়ান। এই পরিস্থিতি থেকেই রেহাই চাইছেন তিনি।
আগামী সপ্তাহেই বিচারপতি সাম্ব্রে আরিয়ানের এই আর্জি শুনবেন। গত ২৮শে অক্টোবর আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর হওয়ার দু-দিন পর ৩০ তারিখ মন্নতে ফেরেন আরিয়ান। এরপর জামিনের শর্ত মেনে প্রতি শুক্রবারই এনসিবির দফতরে হাজির হয়েছেন তিনি। কেবলমাত্র একদিন তাঁর শরীরে কোভিডের উপসর্গ দেখা যাওয়ায় উপস্থিত ছিলেন না শাহরুখ পুত্র।
জামিনের শর্ত মেনে আগেই নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন আরিয়ান। কোনওভাবেই তদন্ত চলাকালীন দেশ ছাড়তে পারবেন না তিনি, এমনকি মুম্বই ছাড়তেও নিতে হবে এনসিবির অনুমতি। এই মামলার কোনও সহ-অভিযুক্তর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখা যাবে না। তদন্তের সঙ্গে জড়িত কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করা বা তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা থেকে বিরত থাকবে অভিযুক্ত। এবং এই ধরণের কোনওরকম পার্টি করা থেকেও বিরত থাকবে সে।