তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। তুফানগঞ্জের পূর্ব ফলিমারীতে শাসকদলের সংঘর্ষে জখম ১৫ জন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃত একজন। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে।
ঘটনাস্থান তুফানগঞ্জের ফলিমারী। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুরুতর আহত পাঁচজন। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লকের, ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন ও পার্থ প্রতিম রায় ঘনিষ্ঠ ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি গোকুল সাহার সঙ্গে দলীয় কোন্দল দীর্ঘদিনের। তারই পরিণতি ঘটল আজ।
শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় পূর্ব ফলিমারী এলাকা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গোটা এলাকায় । তীর ধনুক, ও লাঠিসোটা নিয়ে ব্যাপক জামায়াত হতে থাকে। এরপরই আহত হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে রামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে, আঘাত গুরুতর হওয়ায় আলিপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে, এই ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম কাশিম আলি শেখ (৫৫)।
প্রসঙ্গত, এদিকে কিছুদিন আগেই খোলা বাজারে গুলি চালিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল নেতাকে। মৃত তৃণমূল নেতার নাম মহম্মদ সোলেমন। ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সরকারি আইনজীবী বলেন, “রাজগঞ্জের এক তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে চোপড়া থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতের কাছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও আরও কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে। হাতে এসেছে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। অন্য দুষ্কৃতীর খোঁজ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
রাজগঞ্জ ও জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতা সোলেমন মহম্মদকে গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত ছিল দীনেশ। ঘটনার রাতেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় সে। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল চোপড়া থেকে দীনেশ মহম্মদকে গ্রেফতার করে। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, ধৃতকে শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করে তদন্তের স্বার্থে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে।