মিথ্যে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ৫ অক্টোবর হাথরসে যাওয়ার পথে গ্রেফতার সিদ্দিক কাপ্পান সহ চার পিএফআই কর্মী। পিএফআই সংগঠনের সদস্য মুজফফরনগরের আতিউর রহমান, বাহরাইচের মাসুদ আহমেদ, রামপুরের আলম নামের তিনজন গ্রেপ্তার হন।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের দাবি, ৫ অক্টোবর সাংবাদিক সেজে হাথরসের পৌঁছান সিদ্দিক কাপ্পান । কিন্তু যে সংবাদপত্রের সাংবাদিক হয়ে তিনি সেই দিন সেখানে গিয়েছিলেন সেই সংবাদপত্র ২০১৮-য় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পিএফআই (PFI) এবং তাদের ছাত্র শাখার অন্য কর্মীদের সঙ্গে তাকে হাথরসে যাওয়ার পথে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। তাঁদের কাছে আপত্তিকর সামগ্রী ছিল। পুলিশের দাবি, বাড়ির ঠিকানা-সহ নানা বিষয়ে কাপ্পান মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চে শুনানি হয়। যোগী সরকারের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। আগের শুনানিতে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। কারণ, তাঁকে জানানো হয়েছিল, অভিযুক্ত কাপ্পান নিজেই জামিন চাননি।
কেরল ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস (Kerala Union of Working Journalists) নামের সংগঠনের পক্ষে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল। যোগী সরকারের হলফনামা দেখে পালটা জবাব দিতে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জামিনের আবেদনে কাপ্পানের স্বাক্ষর নিতে তাঁর সঙ্গে আইনজীবীরা দেখা করতেও পারবেন। এক সপ্তাহ পর ফের শুনানি হবে। জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সিব্বল (Kapil Sibbal) অভিযোগ করেন, এর আগে কাপ্পানের সঙ্গে আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল। সব মিলিয়ে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত জেলেই থাকতে হচ্ছে সিদ্দিক কাপ্পানকে।