মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী।

নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা। এরপরই কৃষ্ণনগরের সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাল্টা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী।

বুধবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকের প্রায় শেষলগ্নে মহুয়া মৈত্রের উপর চোটে যান মুখ্যমন্ত্রী। সাংসদের নাম ধরে বলেন, “মহুয়া এখানে একটা স্পষ্ট মেসেজ দিতে চাই। কে কার পক্ষে-বিপক্ষে দেখার দরকার নেই। সাজিয়ে-গুছিয়ে লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে বা ডিজিট্যালে দিয়ে দিলাম! এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে চিরদিন নয়। যখন নির্বাচন হবে, তখন দল ঠিক করবে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কে নয়। সুতরাং এখানে কোন মতপার্থক্য রাখা উচিৎ নয়।” সামনেই একাধিক পুর নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এদিন প্রশাসনিক সভা থেকে দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কোনও ধরনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শীর্ষ নেতৃত্ব যে বরদাস্ত করবে না, তা সাফ বুঝিয়ে দেন তিনি।

এই নিয়েই মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, “এই মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের অপমান করে নিজের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন। আমার তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে এটাও একটা অন্যতম কারণ ছিল। মানুষের আত্মসম্মান রয়েছে। লাইভ হচ্ছে, তাঁর পিতা-মাতা দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কোনও বোধবুদ্ধি নেই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.