বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এই ব্যানারটি ভাইরাল হয়ে গতকাল আমার কাছে এসেছিল । ব্যানারটি কি সত্যি ? প্রশ্ন রেখেছিলাম রাজ্য পুলিশকে গতকাল টুইট করে । যদি সত্যি হয় তাহলে এই অমর কীর্তিটি কার ? কোন অফিসারের ? সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফের এই প্রচারে অভিষেক কেন ? তিনি তো রাজ্যের শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ । রাজ্য সরকারের কোন পদে আছেন কি ? তাহলে তাঁর ছবি কেন ?
উত্তর পাইনি, পাওয়ার কথাও নয় । কে করবে প্রশ্ন ? বিরোধীরা করলে উত্তর পাবেন না । যাঁরা করলে সরকারের টনক নড়বে তাঁরাও অর্থাৎ বাংলা সংবাদপত্র বা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া কিছুতেই করবে না । নবান্ন থেকে বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যাবে ।
এই পরিস্থিতিতে ওপেন ফোরামেই লিখলাম যিনি করে থাকুন তাঁকে পুরস্কার দেওয়া অবিলম্বে দরকার । ২৬ তারিখ প্রজাতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকেই দেওয়া দরকার । বাঁকুড়ার এস পি হোন, কোন সিনিয়র অফিসারই হন অভিষেকের নজরে পড়তে চাইছেন নির্ঘাত । সরকার দেখুক ব্যাপারটা । অবিলম্বে ।
যেমন আরও একজনের পাওয়া দরকার কিছু একটা । কে ? পার্থ চ্যাটার্জি । যিনি শিক্ষা দফতর খুইয়ে অধুনা শিল্প মন্ত্রী । আদানির সঙ্গে শিল্প বৈঠকে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে । ঢুকেছেন অভিষেক আর পি কে । আত্মসম্মান বোধ থাকলে যে কেউ এ ক্ষেত্রে দফতর ছাড়তেন । চক্ষু লজ্জার মাথা খেয়ে এখনও পড়ে আছেন মাথা গুঁজে । এই স্যাক্রিফাইস এর কোন মূল্য থাকবে না ? সে কি করে হয় !
উল্টে গতকাল ১৩৯ টা কেসের আসামি বিমল গুরুংকে জাপটে ধরে অভিষেকের ঘরে ঢুকিয়ে টানা আড়াই ঘণ্টা মিটিং করিয়েছেন । সঙ্গে থেকেছেন, তিনি কে ? তিনি পার্থ চ্যাটার্জি । শিল্প মন্ত্রী । এই কন্ট্রিবিউশন এর কোন মূল্য দেবে না পার্টি ? শিল্পেতে নেই, কিন্তু ক্যাবিনেটে থেকে ব্রোকারির কাজ করছেন একটা মানুষ, তাও আবার খুনের অসামি বিমল গুরুংকে নিয়ে ! ভাবা যায় । এখনই পোস্টিং, প্রমোশন দিন মমতা । দুজনকেই ।
বাঁকুড়ার ওই পুলিশ অফিসারের মত তাঁর এই অবদানের স্বীকৃতিতে পদ্মশ্রীর জন্য নাম পাঠাক রাজ্য । আর এই দাবীর সমর্থনে শুরু হোক গণ স্বাক্ষর । দলের উর্ধ্বে উঠে । এখনই । সময় নষ্ট না করে ।
আমিও সই করব । একটা ন্যায্য পাওনার দাবীতে ।
আপনি ?
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৮৩০৪২৬০৭৮)