অবাক করার মতো মনে হলেও সত্যি! বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়াতে ঘটছে হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থান।

অবাক করার মতো মনে হলেও সত্যি! বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়াতে ঘটছে হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থান।
ওই দেশের রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো গর্বের সাথে নিজেকে কৃষ্ণ ভক্ত বলে জনসমক্ষে উল্লেখ করে থাকেন। মূলত তাঁর উদ্যোগেই ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ‘সুগ্রীব’ চালু হয়েছে। সুগ্রিভা বিশ্ববিদ্যালয় বালির ডেনপাসারে অবস্থিত। হিন্দু ধর্ম স্টেট ইনস্টিটিউটকে (আইএইচডিএন) ইন্দোনেশিয়ার প্রথম হিন্দু স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে রামায়ণের কাল থেকেই ইন্দোনেশিয়া তার পরিচয় ভারতের সাথে যুক্ত করেছে। রামায়ণ ইন্দোনেশিয়ায় বালি মতন এরকম অনেক জায়গার কথাও উল্লেখ করেছেন।

মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া বরাবরই রামায়ণের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে সনাতন সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করে থাকে। ওই দেশের অধিবাসীরা কার্যত স্বীকার ও করে থাকেন যে তাঁদের পূর্বপুরুষের ধর্ম হিন্দু ধর্ম।
দেশে ইসলাম ছাড়ার প্রবণতাও লক্ষ্য করার মতো। সবচেয়ে বড় কথা হ’ল এই মুসলিম দেশটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ, রামায়ণ আমলের সুগ্রীবের নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করেছে।

হিন্দু ধর্ম স্টেট ইনস্টিটিউটকে (আইএইচডিএন) ইন্দোনেশিয়ার প্রথম হিন্দু স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় দেশের প্রথম হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় চালু করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হয়েছে সুগ্রীব বিশ্ববিদ্যালয়।

আসলে, রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোডো ‘জোকোভি’ যিনি আবার কৃষ্ণ ভক্ত তিনি রাষ্ট্রপতি বিধিবিধানের অধীনে হিন্দু ধর্ম রাষ্ট্রীয় ইনস্টিটিউটকে (আইএইচডিএন) কে দেশের প্রথম হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। এই বিধিমালায় বলা হয়েছে যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে I সুগ্রীব স্টেট হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএনএইচ)

ইনস্টিটিউটটি ১৯৯৩ সালে এটি একটি রাজ্য একাডেমি হিসাবে শুরু হয়েছিল। মূলত এই ইনস্টিটিউটটি ১৯৯৩ সালে হিন্দু ধর্মের শিক্ষার জন্য একটি রাষ্ট্রীয় একাডেমি হিসাবে শুরু হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ইনস্টিটিউটটিকে হিন্দু ধর্ম স্টেট কলেজে রূপান্তর করা হয়েছিল। এরপরে ২০০৪ এটির নাম পরিবর্তন হয়ে আইএইচডিএন হয়েছিল।

জানা গেছে যে এই নিয়মটির মধ্যে দিয়ে বিদ্যমান সমস্ত আইএইচডিএন শিক্ষার্থীদের ইউএনএইচে রূপান্তরিত করা হয়েছিল এবং ইনস্টিটিউটের সমস্ত সম্পত্তি এবং কর্মচারীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

রাষ্টপ্রতি বলেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ইন্দোনেশিয়ার এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই সিদ্ধান্ত থেকেই পরিষ্কার যে রাষ্ট্রপতি উইদোদো বালির হিন্দু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।
জনসংখ্যার দিক থেকে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ। তবে এখনও সেখানে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে অনেক কিছু দেখা যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.