চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ ‘এ’ থেকে কোন দুই দল পরের রাউন্ডে যাচ্ছে, তা আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ ছিল আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগমাত্র। ক্লাব ব্রুজকে চার গোল দিয়ে প্যারিস সাঁ-জাঁ ঠিক সেই কাজটাই করলেও, আরবি লাইপজিংয়ের কাছে হেরে কিছুটা আত্মবিশ্বাস আহত হল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির।
পিএসজিকে মাত্র ৭০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল করে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। সাত মিনিটের মধ্যে সেই ব্যবধান দ্বিগুন করে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি ও আসে এমবাপের পা থেকেই। ধপাধপ শুরুতে দুই গোল খেলেও ম্যাচে ধীরে ধীরে ফিরে আসে ব্রুজ। তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে নিজের ট্রেডমার্ক বাঁ-পায়ের বাঁকানো শটে গোল করে কার্যত ব্রুজের সব আশা শেষ করে দেন মেসি। তাঁর গোলের জন্য এবার অ্যাসিস্ট করেন এমবাপে। এটি মেসির ৩৮তম ভিন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দলের বিরুদ্ধে গোল ছিল, যে কৃতিত্ব আর কারুর নেই।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি নিজের খেলায় একটু হালকা দিলে ৬৮ মিনিটে ব্রুজের হয়ে গোল করেন ম্যাটস রিটস। কিন্তু তার আট মিনিট পরেই ফের মেসি গোল করে পিএসজির হয়ে তিন গোলের ব্যবধান পুনরায় স্থাপন করেন। এমবাপে হ্যাটট্রিকে থাকলেও পেনাল্টি নিতে মেসি নিজেই যান। অপরদিকে, ম্যাঞ্চেস্টার সিটির শীর্ষস্থান আগেই পাকা ছিল। তাই লাইপজিংয়ের বিরুদ্ধে এদিন দলে পেপ গুয়ার্দিওলা সাত পরিবর্তন করেন।
করোনা আতঙ্কে দর্শকশূন্য ম্যাচে আরবি লাইপজিংকে এগিয়ে দেন ডমিনিক সজবসলাই। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে রাহিম স্টার্লিংকে নামিয়ে সিটির আক্রমণে কিছুটা পেপ কিছুটা ধার ফেরানোর চেষ্টা করলেও ৭১ মিনিটে আন্দ্রে সিলভার গোলে লাইপজিংই ব্যবধান দ্বিগুন করে। রিয়াদ মাহরেজের ৭৬ মিনিটের গোলের পর সিটি যখনই ম্যাচে ফেরার কথা ভাবছিল, ঠিক তখনই হয়ে কাইল ওয়াকার, সিলভাকে জঘন্য ফাউল করায় সোজা লাল কার্ড দেখেন। শেষমেশ ২-১ গোলেই পরাজিত হয় সিটি। তবে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা একে রইল, পিএসজি এক পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে এবং লাইপজিং সাত পয়েন্ট নিয়ে ইউরোপা লিগে স্থান পাকা করল।