মঙ্গলবার রাজধানীতে উড়ে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সব সাংসদদের সঙ্গে আজ দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে দলের গতিপ্রকৃতি কী হবে তার একটি নীল নকশা তৈরি হয় বৈঠকে। সেই মতো দলের সব সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এরপরেও যাঁরা আজকের বৈঠকে হাজির ছিলেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে দল।
জানা গিয়েছে, যে সাংসদরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না, তাঁদের উপযুক্ত কারণ দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, অনুপস্থিত সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের দুই তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান। বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার জন্য এবার তাঁদের হাতেই শো কজ় নোটিস ধরাতে চলেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের সংসদীয় রণকৌশল আগামী কয়েকদিন কোন পথে আবর্তিত হবে তা নিয়েই ছিল আজকের বৈঠক। বিশেষ করে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কে যে ফাটল তৈরি হয়েছে, তার পর আগামী দিনে তৃণমূলের সংসদীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি কীরকম হবে, তা নিয়েই আজকের বৈঠক ছিল। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি দুই অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানকে। আর সাংসদদের এ হেন গরহাজিরা মোটেই ভাল ভাবে দেখছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠক শেষ হতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অনুপস্থিতির কারণ দেখানোর জন্য নোটিস পাঠানো হবে সাংসদদের।
উল্লেখ্য, তৃণমূল শিবিরে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ দুই তারকা সাংসদ। কিন্তু, গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিতির জন্য এবার তাঁদেরকেও শো-কজ় নোটিস ধরানো হচ্ছে। অর্থাৎ, একটি স্পষ্ট বার্তা তৃণমূল দলের সব স্তরের নেতা ও কর্মীদের দিয়ে রাখতে চাইছে – কাউকেই রেয়াত নয়। বিশেষ করে দল যখন জাতীয় রাজনীতিতে নিজের আধিপত্য বিস্তারের পথে হাঁটছে, তখন এই ধরনের মনোভাব যে কখনোই বরদাস্ত নয়, সেই কথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের এই পদক্ষেপে।
দলের দুই রাজ্যসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা চলছে। মঙ্গলবার দিল্লিতে পা রেখেই সেই ধরনায় দলীয় সাংসদদের সঙ্গে যোগ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শান্তনু সেন এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতারা।
পরে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন অভিষেক। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে তৃণমূল কোন পথে এগোবে, সেই নিয়ে একটি দিক নির্দেশ করেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী দিনে কেন্দ্রের ট্রেজ়ারি বেঞ্চের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সরব হতে চলেছে তৃণমূল সাংসদরা।