রাজ্যে ভয়মুক্ত নির্বাচন করানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি করেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগেও একাধিকবার এই আবেদন করা হয়েছে বিজেপি শিবিরের তরফে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কোনও পরিকল্পনা নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বঙ্গ বিজেপি।
আজ শুভেন্দু অধিকারী কমিশন থেকে বেরিয়ে জানিয়েছেন, “ভিভিপ্যাট যুক্ত ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে এই বিষয়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়েও বলেছি। কমিশন রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের উপর আস্থা রাখছে। তিনি পুলিশের উপর খুশি। এই আস্থা থাকলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কেন বাহিনী আনবে? রাজ্যের পরিস্থিতি আলাদা, সেটা বুঝেই এখানে বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।”
তাঁর আরও বক্তব্য, “প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রচারে প্রার্থীরা যাতে নিরাপত্তা পান, তা দেখবে কমিশন। কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে জানানো হয়েছে। আমরা ওনার সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট নই।”
বঙ্গ বিজেপির বক্তব্য, রাজ্য প্রশাসন দিয়ে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে তৃণমূলের তরফে পাঁচ জন বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানানো হয়েছে।
কলকাতার পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছে লালবাজার। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই রাজ্যপালকে চিঠি দেবে কমিশন। সোমবারই রাজ্যপাল টুইটারে জানিয়েছিলেন, ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী ভাবছে তা মঙ্গলবার তাঁকে জানাতে হবে।
বিজেপি এদিকে এখনও নিজেদের দাবিতে অনঢ়। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে কলকাতার পুরভোট করাতে হবে। কমিশনকেও সে কথা তারা জানিয়েছে। তবে রাজ্য এই ভোটে ভরসা রাখছে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশেই। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে নগরপাল সৌমেন মিত্র জানিয়েছেন, তাঁদের তরফে নিরাপত্তা নিয়ে যে প্রস্তাব কমিশনকে দেওয়ার তা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। নগরপাল নিজেও জানিয়েছেন ভোট করানোর জন্য কলকাতা পুলিশের হাতে পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে।
এই নির্বাচনে নিরাপত্তার যাতে কোনও ঘাটতি না হয়, সেই সমস্ত বিষয়ই দেখা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী বাহিনীও তৈরি করা হচ্ছে। নগরপাল সৌমেন মিত্র জানান, আসন্ন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও। তবে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে রাজ্য পুলিশ কতটা থাকবে সেই বিষয়টিও নির্বাচন কমিশনারের অনুমোদনের উপর নির্ভর করছে।