ইসলাম অবমাননার অভিযোগে শ্রীলঙ্কার নাগরিককে পিটিয়ে-পুড়িয়ে মেরেছে পাকিস্তানের ইসলামিক জনতা। ঘটনার নিন্দায় সরব গোটা বিশ্ব। কিন্তু বিন্দুমাত্র দুঃখ প্রকাশ দূরের কথা, প্রিয়ন্ত কুমারার হত্যাকাণ্ডকে পরোক্ষে সমর্থন করলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খট্টক। তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট ছেলে ইসলামিক আবেগের বশে করে ফেলেছে’।
শ্রীলঙ্কার নাগরিক প্রিয়ন্ত কুমারা চরমপন্থী ইসলামিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইকের একটি পোস্টার ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিযেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই পোস্টারে কোরানের কোনও উদ্ধৃতি লেখা ছিল বলে দাবি। এরপরই কারখানা থেকে টেনে বাইরে বের করে এনে পিটিয়ে মারা হয় প্রিয়ন্তকে। মুখে ধর্মদ্রোহিতার বিরুদ্ধে স্লোগান। তারপর রাস্তার মাঝে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাঁর দেহ।
সম্প্রতি ব্যাপক ফ্রান্স-বিরোধী বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছিল তেহরিক-ই-লাব্বাইক। চাপের মুখে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইমরান সরকার। কিন্তু খট্টকের দাবি, শ্রীলঙ্কার নাগরিকের হত্যার সঙ্গে টিএলপির ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলার কোনও সম্পর্ক নেই।
পেশোয়ারে সাংবাদিকরা প্রশ্নের উত্তরে খট্টক বলেন, ‘ছোটরা বড় হয়ে উঠলে তেজ, আবেগের বশে কত, কী না করে ফেলে! শিয়ালকোটে কিছু অল্পবয়সি ছেলে-ছোকরা জড়ো হয়ে কুমারাকে ইসলাম অবমাননায় অভিযুক্ত করে, তা থেকে ‘আচমকা ‘গণপিটুনি ঘটে যায়। এমনকী তিনি নিজেও হয়তো উত্তেজনা, আবেগের বশে কোনও ভুল করে ফেলতে পারেন, কিন্তু তা বলে এমন ঘটনা থেকে পাকিস্তান ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, বলা যায় না’।