ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে উত্তর প্রদেশে উৎপাদিত হবে ৫ লক্ষ একে-২০৩ রাইফেল।

কোনও দেশকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজন শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এতদিন বেশিরভাগ অত্যাধুনিক অস্ত্রের জন্য বন্ধু দেশ গুলির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ছাড়া ভারতে অন্য কোনও উপায় ছিল। তবে বিগত বেশ কিছু বছর ধরে সরকারে উদ্যোগে দেশীয় প্রযুক্তি ও দেশে অস্ত্র তৈরির ব্যপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই চিন্তাভাবনার অঙ্গ হিসেবে উত্তর প্রদেশের অমেঠির কোরওয়াতে একে-২০৩ রাইফেল উৎপাদের পরিকল্পনায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্বেই এই রাইফেল গুলি নির্মিত হবে। দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করে আসছে এই দুই দেশ।

এই রাইফেল নির্মাণ শুরু হলে শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই মজবুত হবে না। একই সঙ্গে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের এই রাইফেল নির্মাণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যোগান দেওয়ার চাহিদাও বাড়বে। ফলে ব্যবসারও প্রকৃত উন্নতি হবে বলেই মনে করছে সরকার। এর ফলে আরও বেশি করে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ রয়েছে। প্রকল্পটি ভারতের ঊর্ধ্বমুখী প্রতিরক্ষা উত্পাদন দক্ষতায় উত্তর প্রদেশের নামকে আরও উজ্জ্বল করবে।

জানা গিয়েছে, 7.62 X 39 মিমি ক্যালিবার একে-২০৩ রাইফেল, ৩০ বছর আগে প্রচলিত ইনসাস রাইফেলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে। একে-২০৩ রাইফেলের রেঞ্জ ৩০০ মিটার পাশাপাশি ওজনেও তুলনামূলকভাবে হালকা এই রাইফেল। শুধু তাই নয় বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বা শত্রু দমনের সময় এই রাইফেল ব্যবহার করা অনেকটাই সহজ। তাই এই রাইফেল ব্যবহারের ফলে ভারতীয় সেনা ও সশস্ত্র বাহিনী গুলির সুরক্ষা ও জঙ্গিদমন কার্যকলাপে অনেকটাই সুবিধা হবে।

ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই রাইফেল তৈরি হবে। উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ইন্দো-রাশিয়ান রাইফেলস প্রাইভেট লিমিটেড। এই রাইফেল অ্যাডভান্সড উইপন্স অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং মিউনিশন ইন্ডিয়া লিমিটেড ও রাশিয়ার রোসোবোরোনেক্সপোর্ট (RoE) এবং রাশিয়ার কালাশনিকভ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.