নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির আউট নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হল। ‘অকাট্য’ প্রমাণের অভাবে তাঁকে এলবিডব্লুউ দেওয়া হয়। যদিও ভিডিয়োয় দেখে নেটিজেনদের দাবি, বিরাটের ব্যাটে লেগেছে বল। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ দেখায় বিরাটকেও। আম্পায়ারের সঙ্গে কিছু কথাও বলেন।
শুক্রবার মুম্বইয়ে ৩০ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লুউয়ের জন্য জোরালো আবেদন করেন আয়াজ প্যাটেল। আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার অনিল চৌধুরী। সঙ্গে সঙ্গে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নেন বিরাট। রিভিউয়ে দেখা যায়, ব্যাটে বল লেগেছে কিনা, তা খালি চোখে বোঝা যায়নি। ফ্রন্টফুটে বিরাট রক্ষণাত্মক খেলার সময় ব্যাট এবং প্যাডের প্রায় মাঝখানে ছিল বল। আন্ট্রাএজে গ্রাফের নড়াচড়া ধরা পড়ে। তবে বল প্রথম ব্যাটে লেগেছে নাকি বল প্যাডে লেগেছে, তা বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেন তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দর শর্মা। যদিও ব্যাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বলের সিম কিছুটা ঘুরতে দেখা যায়। তা থেকে মনে হচ্ছিল যে ব্যাটে লেগেছে বল। যদিও তৃতীয় আম্পায়ার দাবি করেন, কোনও ‘অকাট্য’ প্রমাণ নেই। তাই অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তৃতীয় আম্পায়ারের সেই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেখায় বিরাটকে। অবাক হয়ে যান তিনি। আম্পায়ারের সঙ্গে ব্যাট হাতে কিছু বলতে দেখা যায় ভারতীয় অধিনায়ককে। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাউন্ডারির লাইনে ব্যাট দিয়ে মারতে দেখা যায়। রীতিমতো ক্ষুব্ধ ছিলেন বিরাট। ড্রেসিংরুম ফিরেও কটাক্ষের হাসি ছুড়ে দেন।
তারইমধ্যে বিরাটের আউটে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। বিরাটের আউটের ভিডিয়ো পোস্ট করে তাঁরা দাবি করেন, ব্যাটে যে বল লেগেছে, তা একেবারে স্পষ্টতই। কেউ কেউ তো প্রশ্ন করেন, ‘আম্পায়ার কি অন্ধ নাকি?’ বিষয়টি নিয়ে সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসে প্রাক্তন ভারতীয় খেলোয়াড় সঞ্জয় বাঙ্গার দাবি করেন, যেভাবে বলটা ঘুরে প্যাডে লেগেছে, তাতে স্পষ্ট যে বল ব্যাটও ছুঁয়ে গিয়েছে। ওখান থেকে ব্যাটে না লাগলে বল ওরকমভাবে ঘুরতে পারে না। যদিও প্রাক্তন কিউয়ি ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল দাবি করেন, নিয়ম মেনে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার। অনফিল্ড আম্পায়ারও আউট দিয়েছিলেন। তাই ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বীরেন্দর।