করোনার দাপট একটু কমতেই স্কুল খুলে গিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলেই দেখা যাচ্ছে পড়ুয়াদের অনেকেই আসছে না। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন স্কুলেও এনিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ ছড়ায়। কেন স্কুলে আসছে না পড়ুয়াদের একাংশ তা নিয়ে খোঁজখবর করা শুরু করেন শিক্ষকরা। এরপর দেখা যায় কয়েকজন ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছাত্রদের একাংশ সংসার টানতে কাজে লেগে পড়েছে। এখনই কাজ ছেড়ে স্কুলে আসতে চাইছে না তারা। কিন্তু বাকিরা কেন স্কুলে আসছে না? সেই প্রশ্নেরও উত্তর পাওয়া গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় সেই সময়টাতে গৃহ শিক্ষকের বাড়িতে যেত পড়ুয়ারা। বর্তমানে স্কুল খুলে যাওয়ার পরেও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অনেকে স্কুল না গিয়ে গৃহশিক্ষকের বাড়িতে যাচ্ছে। এই তথ্য জানার পরেই নড়েচড়়ে বসে প্রশাসন।
তপন ব্লক অফিসের তরফে বিশেষ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ছুটি ছাড়া অন্য কোনও দিন স্কুল চলাকালীন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের টিউশন পড়ানো যাবে না। এমন ঘটনা নজরে এলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মূলত স্কুলে যাতে পড়ুয়ারা ফের আসে সেকারণেই এই বিশেষ নোটিশ জারি হয়েছে। তবে এই নোটিশকে ঘিরে অভিভাবক ও গৃহশিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন গৃহশিক্ষকদের অনেকেই। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, স্কুলে এতদিন কার্যত কোনও পড়াশোনা হয়নি। স্কুল শিক্ষকরাও কোনও গুরুত্ব দেননি। গৃহশিক্ষকদের কাছে না পাঠালে সন্তানরা আরও সমস্যায় পড়বে। বাধ্য হয়েই গৃহশিক্ষকদের উপর নির্ভর করতে হয়েছে।