এবার ভারতেও থাবা বসাল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কর্নাটকে দু’জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তাঁরা ওমিক্রন বা করোনাভাইরাসের বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির কবলে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব বলেন, ‘ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জেনোমিক্স কনসর্টিয়ামে জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে কর্নাটকে দু’জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ৩৭ টি ল্যাবের যে কনসর্টিয়াম তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আমরা আতঙ্ক তৈরি করতে চাই না। করোনাভাইরাস সুরক্ষা বিধি মেনে চলার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত দু’জন কোন দেশ থেকে এসেছেন, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব লব আগরওয়াল জানান, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে সেই তথ্য জানানো হচ্ছে না। তবে যাঁরা ওই দু’জনের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে বিমানবন্দরে এতদিন যে করোনা সংক্রান্ত নিয়ম পালন করা হয়েছে, এখনও করা হচ্ছে।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত দু’জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তবে তাঁরা করোনার ডেল্টা প্রজাতির কবলে পড়েছিলেন। তারইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। প্রজাতির একাধিকবার মিউটেশন (জিনগত পরিবর্তন) হয়েছে। কয়েকটি মিউটেশন তো উদ্বেগজনক। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে, তাতে জানা গিয়েছে যে অন্যান্য ‘উদ্বেগজনক’ বা ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্নের’ থেকে বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারইমধ্যে গত দক্ষিণ আফ্রিকার সব প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।