মুখ্য়মন্ত্রীর মুম্বই সফরে বিজেপির নয়া অভিযোগ। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। চেয়ারে বসে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অভিযোগ উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো টুইটে পোস্টও করেছেন বিজেপির একের পর এক নেতা।
ঠিক কী দেখা গিয়েছে ভিডিয়োতে? দেখা গিয়েছে, সেই ভিডিয়োতে প্রথমে বসেই জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপর দাঁড়িয়ে উঠে জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম চারলাইন উদ্ধৃত করেই ‘জয় মহারাষ্ট্র’ বলে বসে পড়েন তৃণমূল সুপ্রিমো। মুম্বইতে সম্ভবত নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠকের এই ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অন্যদিকে, বঙ্গ-বিজেপির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, “প্রথমে বসে, তারপর দাঁড়িয়ে অর্ধেক জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি আজ বাংলার সংস্কৃতি,জাতীয় সঙ্গীত এবং সর্বোপরি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবমাননা করেছেন।”
টুইট করেছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও। টুইটে তিনি স্পষ্টই লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আদপে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘উপহাস’ করেছেন। প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করেছেন অমিত মালব্যও। যদিও, এই ঘটনায় এখনও তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, যখন বিরোধী ঐক্য কর্পূরের মতো উবে যাচ্ছে বলে চর্চা হচ্ছে, যখন মমতার একক অস্তিত্ব প্রমাণের কথা হচ্ছে, ঠিক সেই সময় বিজেপি বিরোধী মহাজোটকে আরও আষ্টেপিষ্টে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিরোধী ঐক্যে শান দিতে মুম্বইয়ে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
প্রায় একঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একটা বিকল্প শক্তি গড়ে উঠা দরকার। কারণ, এখন যে ফ্যাসিবাদী রাজ চলছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো কেউ নেই। শরদ পাওয়ার সবথেকে বর্ষীয়ান নেতা। আমি আমাদের বিরোধী দলগুলি নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। শরদ পাওয়ার যা যা বলেছেন, তার সঙ্গে আমি একমত। এখানে আর কোনও ইউপিএ নেই।”