পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায়-জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের খবর মিলেছে। কখনও এলাকা দখল ঘিরে বোমাবাজি, কখনও স্বজনপোষণ কখনও বা দুর্নীতি। বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে শাসকদলকে। এবার নন্দীগ্রামের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন দলের সদস্যরাই।
নন্দীগ্রামের দাউদপুর ৮ নম্বর গ্রাম। সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতিতে সরব হলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যরা। অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আবদুল মোতালেব পঞ্চায়েতের কোনও মিটিং না করেই স্থায়ী সমিতির বিভিন্ন অর্থ তছরূপ করছেন। সেই টাকা তছরুপের অভিযোগে ইতিমধ্যে বিডিয়োর কাছে অভিযোগও জমা দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই আবদুল মোতালেব বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। গাছ কাটা নিয়ে বিডিও আমায় চিঠি দিয়েছিলেন সেই নিয়ে যাবতীয় তথ্য আমি বিডিওকে জমা দিই। তারপর ক্লিনচিটও আমায় দেওয়া হয়। এরপর যতগুলি বিষয়ে তদন্ত হয়েছে আমায় প্রত্যেকটি বিষয়ে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। যারা এখানে অভিযোগ করছেন তাঁরা একসময় শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে ভোট করিয়েছিলেন। এখন নিজেদের দোষ ঢাকতে এই সকল মিথ্যে অভিযোগ করছে।”
ক্যামেরার সামনে না আসতে চাইলেও অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে বক্তব্য নন্দীগ্রামের বিডিওর।
অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, গোটা নন্দীগ্রাম জুড়েই এইধরনের তৃণমূল নেতাদের তোলাবাজি চলছে। এরা কেউই ভোটে জিতে আসেনি ছাপ্পা মেরে জনপ্রতিনিধি হয়েছে। শুধু দাউদপুর নয় গোটা নন্দীগ্রাম জুড়েই তৃণমূল নেতাদের এই ধরনের তোলাবাজি আর্থিক তছরুপ চলছে।