সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিয়েছে, তার বিরোধিতা করেছে অনেক দলই। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিএসএফ সংক্রান্ত প্রস্তাবও পাশ হয়ছে। এবার শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই সেই ইস্যুতে মুখ খুলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে যে সব অপরাধ চলে, তা এবার নিয়ন্ত্রণে আসবে। রাজ্য পুলিশের সহযোগিতাতেই বিএসএফ কাজ করবে বলেও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
তৃণমূল সাংসদ সাজদা আহমেদ এই বিষয়ে এ দিন প্রশ্ন করেছিলেন সংসদে। তিনি প্রশ্ন করেন গত ১১ অক্টেবর কেন্দ্রের তরফে এই সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল, তা সরকার প্রত্যাহার করার চিন্তা ভাবনা করছে কি না। সেই প্রশ্নের জবাবেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে সীমান্ত পার করে যে ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, তা বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ার ফলে নিয়ন্ত্রণে আসবে।
কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল রাজ্য়ের বিধানসভায়। এই ইস্যুতে বিধানসভায় সরব হন উদয়ন গুহ, তাপস রায় সহ তৃণমূল বিধায়কেরা।
তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যের সীমান্তে নজরদারি চালানোর লক্ষ্য়ে বিএসএফ-এর এলাকা ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের আরও দাবি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব রাজ্যের। যে কোনও অপরাধের তদন্ত করার অধিকার একমাত্র রাজ্য পুলিশের হাতে। এটা সংবিধানের সপ্তম ধারায় বলা আছে। তাই কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি সংবিধানের ধারাকে লঙ্ঘিত করছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
গত ১৬ নভেম্বর বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে তা পাশও হয়ে যায়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি করে তৃণমূল সরকার। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও।