দ্য ওয়াল ব্যুরো: সপুষ্টি দিবস উদ্যাপনের নামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে। তাঁর সামনে পঞ্চব্যঞ্জন দিয়ে সাজিয়ে খাবার দেওয়া হয়। তারপর ফটো তুলে সেই খাবারের থালা সরিয়ে শুধুমাত্র ডিমের ঝোল ভাত খেতে দেওয়া হয় তাঁকে বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা ও তাঁর স্বামী। এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
ঘটনাটি নদিয়া জেলার। শুক্রবার সপুষ্টি দিবস উপলক্ষ্যে সেখানে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তা পালন করা হয়। গোস্বামী পাড়ার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিমন্ত্রণ করা হয় ভগবতী দাস রোডের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাধুখাঁর স্ত্রী মৌমিতা সাধুখাঁকে। অভিযোগ, প্রথমে তাঁর সামনে তরিতরকারি সাজিয়ে রাখা হয়। খাবার সমেত ফটোও তোলা হয় মৌমিতার। তারপর তাঁর সামনে থেকে তা তুলে নিয়ে শুধুমাত্র ডিমের ঝোল ভাত খেতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ করা হয় আইসিডিএস কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। ঘটনায় মারাত্মক রেগে যান মৌমিতা। তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ এ ব্যাপারে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী পান্না দেকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে যা বলার, তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবে। তারপরেই শান্তিপুরের শিশু কল্যাণ প্রকল্প আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জানান বিশ্বজিৎ।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার জেলা অঙ্গনওয়াড়ি আধিকারিক ভাস্কর ঘোষ অবশ্য দাঁড়িয়েছেন আইসিডিএস কর্মীদের পাশেই। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ একটা ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা। একজন গর্ভবতী মায়ের কী ধরণের খাবার খাওয়া উচিত, তা সাধারণ মানুষকে জানানোর জন্যই মৌমিতার সামনে খাবার রেখে ছবি তোলা হয়েছিল। ওই খাবার শুধু ডিসপ্লের জন্যই ছিল। তাঁকে তারপর সেই খাবারই দেওয়া হয়েছিল, যা ওই অঙ্গনওয়াড়ির খাবার।
ভাস্করবাবুর বক্তব্যের পরেও অবশ্য বিতর্ক কাটছে না। কেউ বলছেন, এভাবে খাবার দিয়ে তুলে নেওয়া খুবই অপমানের। এখন পরিস্থিতি সামলাতে এই কথা বলছেন তিনি।