পরিস্থিতি সবে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল গোটা দেশ। আর এরই মধ্যে ফের নতুন করে আতঙ্ক। আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। করোনার এই নতুন স্ট্রেনে এখন গোটা বিশ্ব থরহরিকম্প। আর এরই মধ্যে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কেন্দ্র। বিদেশ থেকে আগত প্রত্যেক বিমানযাত্রীকে শেষ ১৪ দিনের ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’ বাধ্যতামূলকভাবে জমা করতে হবে। আপলোড করতে হবে করোনা পরীক্ষার ফলাফলও। ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে নতুন নিয়ম।
কেন্দ্রের এয়ার সুবিধা পোর্টালে একটি সেল্ফ ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণ করে অনলাইনে জমা করতে হবে বিদেশ থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীকে। সেই সঙ্গে জমা করতে হবে শেষ দুই সপ্তাহের ট্রাভেল হিস্ট্রি। যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে এবং রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই বিমান যাত্রা করতে পারবেন। এর করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও অনলাইনে জমা করতে হবে। এর পাশাপাশি ওই করোনা পরীক্ষার রিপোর্টটি যে ভুয়ো নয়, সেই সংক্রান্ত একটি ডিক্লারেশনও জমা করতে হবে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে কোনওরকম হেরফের করা হলে, ওই যাত্রীকে বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে।
এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ তালিকাভুক্ত দেশগুলি থেকে আগত বিমানযাত্রীদের উপর বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। যে দেশগুলিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন সহ ইউরোপীয় দেশগুলি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজ়িল, বাংলাদেশ, বৎসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজ়িল্যান্ড, জ়িম্বাবোয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইজরায়েল। এই সব দেশগুলি থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরও বাড়ানো হয়েছে। দেশের বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের নিজের খরচে আবার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না পরীক্ষার রিপোর্ট আসছে, ততক্ষণ বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করতে হবে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। তাঁর সোয়াবের নমুনা পাঠানো হবে জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য।
রিপোর্ট ঠিকঠাক থাকলে, তাহলেই তাঁরা বিমানবন্দর থেকে বেরোতে পারবেন বা অন্য কোনও কানেক্টিং বিমানে উঠতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর অনুমতি পেলেও সাত দিন বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। অষ্টম দিনে পুনরায় করোনা পরীক্ষা করাতে হবে, নেগেটিভ এলে আরও এক সপ্তাহ নিজের শারীরিক গতিবিধির উপর নজর রাখতে হবে।
এই ঝুঁকিপূর্ণ তালিকাভুক্ত দেশগুলি ছাড়া অন্য দেশগুলি থেকে আগত বিমানযাত্রীরা অবতরণের পর বিমানবন্দর থেকে বেরোতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রেও তাঁদের ১৪ দিন নিজেদের শারীরিক গতিবিধির উপর নজর রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিমানের মোট যাত্রী সংখ্যার থেকে যে কোনও পাঁচ শতাংশ যাত্রীকে অবতরণের পর করোনা পরীক্ষা করানো হবে।