লাল বাড়ি দখলের লড়াই : সোমবারই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, থাকতে পারে ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যের নাম।

সোমবারই প্রকাশিত হচ্ছে বিজেপির প্রার্থী তালিকা। কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই গেরুয়া শিবিরের মুখের ঘোষণা করা হবে। চূড়ান্ত তালিকাও প্রায় সারা। রবিবার এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কয়েকটি আসনে প্রার্থী নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। সে সব মিটে গেলেই তালিকা ঘোষণা করা হবে।

রবিবার রাহুল সিনহা বলেন, “তালিকা মোটামুটি আমরা প্রস্তুত করে নিয়েছি। ১৪৪টা ওয়ার্ডেরই প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকেরা রয়েছেন। মহিলাদের যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনই যুব প্রার্থীদেরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাজের ডাক্তার এবং অ্যাডভোকেট, অন্যান্য সামাজিক পেশায় যাঁরা রয়েছেন, শিক্ষক, অধ্যাপক, স্কলার প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে তালিকা মোটামুটি প্রস্তুত হয়েছে। সোমবার এই তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেই তা জানানো হবে। একটা রাত শুধু অপেক্ষা করা।”

তৃণমূল, বাম, কংগ্রেসও কলকাতা পুরভোটে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে ফেলেছে। এখনও প্রার্থীদের তালিকা দিতে পারেনি এ রাজ্যের মূল বিরোধী শক্তি বিজেপি। এ নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন সকালেই দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা বার বার বলেন, ৩০ নভেম্বর তাঁদের ১৪৪ জন প্রার্থীই মনোনয়ন জমা দেবে। সোমবারের মধ্যেই তালিকাও প্রকাশিত হয়ে যাবে।

বিধানসভা নির্বাচনই হোক বা উপ নির্বাচন, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সব দলের পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। পুর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ ছাড়া পুরভোট নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরে আশা ছিল, আদালতের রায় ঘোষণা হবে শীঘ্রই। তাই পুরভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রেও কিছুটা দেরি করেছে বিজেপি। তবে এবার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে তৎপর হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। শনিবার বৈঠকও করে তারা। রবিবারও বৈঠকে বসে।

সূত্রের খবর, ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যকে পুরভোটের টিকিট দিতে পারে বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন বিশ্বজিত্‍ সরকার। কাঁকুরগাছিতে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা তিনি। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকেই প্রার্থী করার ভাবনা রয়েছে বিজেপির। তেমনটা হলে বিশ্বজিতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তৃণমূলের পরেশ পালের সঙ্গে।

যদিও এর আগে ভবানীপুরে উপনির্বাচনেও উঠে এসেছিল এই বিশ্বজিৎ সরকারের নাম। যদিও সে সময় তিনি টিকিট পাননি। দলের মুখ ছিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান তিনি। এবার কাউন্সিলর হওয়ার লড়াইয়ে আবারও বিশ্বজিতের নাম নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

এমনও শোনা যাচ্ছে, এলাকার স্থানীয় লোক, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে বিজেপির কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত, এমন ব্যক্তিদের অগ্ৰাধিকার দেওয়া হবে। জনপ্রিয় কোনও নেতা খুব বেশি থাকছে না প্রার্থী তালিকায়। তবে সমাজের সব অংশের প্রতিনিধিদের রাখার চেষ্টা করা হবে। পুরনো আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যদেরও প্রার্থী করার ভাবনা রয়েছে বিজেপির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.