পুরভোটে গেরুয়াময় ত্রিপুরা। রাজ্যের ১৩ পুরসভা ও ৬ নগর পঞ্চায়েতের ক্ষমতা এখন বিজেপির দখল। আগরতলাতেও বিরোধীদের হোয়াইটওয়াশ করল বিজেপি। এনিয়ে রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
ফলপ্রকাশের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিপ্লব দেব বলেন, যেভাবে ত্রিপুরাবাসীকে বিভিন্নভাবে অপমান করা হচ্ছিল, কুত্সা, পদদলিত করা হচ্ছিল তাতে পুরভোটে তারই জবাব দিয়েছে ত্রিপুরাবাসী। সঠিক জবাব দেওয়ার জন্য ত্রিপুরার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। মানুষ বিজেপিকে প্রায় ৯০ শতাংশ সিট উপহার দিয়েছে। তাঁরাই ঠিক করে দিয়েছেন ত্রিপুরাবাসী কোন দিকে যেতে চায়। এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয়, কেউ এখানে সংখ্যাগুরু নয়। সবাই ত্রিপুরাবাসী। একসঙ্গে ত্রিপুরার উন্নয়ন চায়। একসঙ্গে থাকতে চায়। এই জয় ত্রিপুরার ৩৭ লাখ মানুষের জয়। ত্রিপুরার স্বাভিমানের জয়।
এবার পুরভোটে বিজেপিকে একপ্রকার চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ঘাসফুল শিবিরের উদ্দেশ্য বিপ্লব দেব বলেন, ‘বাংলার ঐতিহ্য যাতে নষ্ট না হয় তা দেখুন সেখানকার শাসক দল। সেই বার্তাই ত্রিপুরাবাসী তাদের দিয়েছে।’
ত্রিপুরার ফল নিয়ে অবশ্য আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরভোটে ২৪ শতাংশের কাছাকাছি ভোটে পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র ৩ মাসের মধ্যে রাস্তায় নেমে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। মানুষও এতকিছু উপেক্ষা করে যতটুকু ভোট দিতে পেরেছে তাতেই তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে। মনে হয় ভারতে এমন নজির নেই যে মাত্র তিন মাস লড়াই করে ২৪ শতাংশ ভোট শেয়ার দখল করতে কেউ পেরেছে!
পাল্টা কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য,’ত্রিপুরার মানুষকে অভিনন্দন। যারা ওখানে অশান্তি করেছিল তাদের সাধারণ মানুষ সমর্থন করেননি।’