বাসন্তীর বিজেপি বুথ সভাপতির জমি জোর করে দখল ও মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, আহত অবস্থায় বিজেপি নেতা হাসপাতালে যেতে চাইলে হুমকি দিয়ে অটো ও টোটো চালকদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে যান বিজেপি নেতা বিশ্বনাথ মণ্ডল।
বিজেপির বুথ সভাপতির জমি জোর করে দখল ও তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত হলেন বিজেপি বুথ সভাপতি বিশ্বনাথ মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী ব্লকের অন্তর্গত ঝড়খালি উপকূল থানার ত্রিদিব নগর গ্রামে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ঝড়খালি অঞ্চলের ত্রিদিব নগর গ্রামের সক্রিয় বিজেপি কর্মী এবং বিজেপির বুথ সভাপতি বিশ্বনাথ বাবু।
গত বিধানসভা ভোট গণনা পরে থেকেই ঘরছাড়া ছিলেন তিনি বলে খবর। তবে মাস খানেক আগে বাড়ি ফেরেন বিশ্বনাথ। এর পর এলাকা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, জোর করে তাঁর জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীদের মারে গুরুতর আহত ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।
আহত বিজেপি নেতার কথায়, “সকালে চারজন লোক নিয়ে নিজের জমিতে কাজ করতে যাই। কয়েকজন এসে বলে এখানে বাঁধ দেওয়া যাবে না। অকথ্য গালিগালাজ করে আমাকে। আমার লোকজন ছিল। আমি জানাই, কেন আমার জমিতে বাঁধ দিতে পারব না? তখন দুম করে এসে আমাকে গালে চড় মারে। আমার চশমাটা ভেঙে যায়। তার পর ওখানকার লোকজন আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। ১০ মিনিট পর আবার এসে বেধড়ক মারধর করে আমাকে। প্রথমে তিনজন, পরে আবার আসে অনেকে, তারপর আবার… তিন দফায় আমাকে মারধর করল।” তিনি যোগ করেন, ভোট গণনার পর আমাকে বাড়ি ছাড়তে হয়। তখন আমাকে মারতে পারেনি। এখন সুযোগ পেয়ে আমাকে মারল।” নরেন মণ্ডল, তারক মণ্ডল, গৌরহরি বিশ্বাস প্রমুখ স্থানীয় তৃণমূল নেতার দিকে আঙুল তোলেন তিনি।
এই নিয়ে ঝড়খালি কোস্টাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই আহত নেতা। সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আর এই ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানালেন বাসন্তী বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলও।