করোনভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট রুখতে সরকারি আধিকারিকদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার আধিকারিকদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন মোগী। করোনভাইরাসের সাম্প্রতিক আবিষ্কৃত ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্ব জোড়া উদ্বেগের মাঝে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেখানেই আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরিকল্পনা পর্যালোচনা করতে বললেন মোদী। উল্লেখ্য, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হওয়ার কথা ভারতে। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণের আবহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান বিমান চলাচলের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করতে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে নতুন হুমকির আবহে মানুষকে আরও সতর্ক হতে হবে। মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বের মতো যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত দেশগুলির উপর নির্দিষ্ট ফোকাস দেওয়ার কথা বলেন। তাছাড়া সমস্ত আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা অনুযায়ী যাত্রীদের পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরিকল্পনার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে বলেন কর্মকর্তাদের।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, ওমিক্রন নামক নয়া কোভিড ভ্যারিয়েন্টের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শঙ্কিত গোটা বিশ্ব। এই আবহে ভারতও আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বনের পথে হাঁটতে চায়। ডেল্টার বিভীষিকা যাতে ফিরে না আসে, তাই ওমিক্রন নিয়ে আগে ভাগেই আলোচনা করতে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়া ভ্যারিয়েন্টের আগমনে দেশ যাতে প্রস্তুত থাকে, সেই দিকে নজর সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসারে, আজ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকটি নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পিকে মিশ্র, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এবং নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভিকে পাল।