ভারতে দেওয়া করোনা টিকার স্বীকৃতি নিয়ে দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। বিভিন্ন দেশই ভারতে ব্যবহৃত করোনা টিকাকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি। সব থেকে বেশি সমস্যা পড়েছিলেন কোভ্যাকসিন নেওয়া টিকা গ্রাহকরা। যেসব গ্রাহকরা কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন তারাও সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সবথেকে বেশি সমস্যা পড়েছিলেন অনাবাসী ভারতীয়রা এবং ছাত্রছাত্রীরা যাঁরা বিদেশে পড়াশুনা করতে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এদিন সকালেই দেশে ব্যবহৃত করোনা টিকার শংসাপত্র নিয়ে সুখবর শোনাল বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ১৫টি দেশ, ভারতের করোনা টিকার শংসাপত্রকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইট করে এই কথা জানিয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “কোভিড ১৯ টিকাকরণ শংসাপত্রের পারস্পরিক স্বীকৃতি অব্যাহত। আরও ১৫টি দেশ এই শংসাপত্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।” বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের টিকাকরণ শংসাপত্রের পারস্পরিক স্বীকৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, বেলারুশ, এস্তোনিয়া, জর্জিয়া, হাঙ্গেরি, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, লেবানন, মরিশাস, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নিকারাগুয়া, প্যালেস্টাইন, ফিলিপাইন, সান মারিনো, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক এবং ইউক্রেন।
চলতি মাসের শুরুতেই বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল ১০০ টি দেশ ভারতের করোনা টিকার শংসাপত্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছিলেন, বাকি দেশগুলির সঙ্গে শংসাপত্রের যৌথ স্বীকৃতি নিয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছে সরকার। শংসাপত্র স্বীকৃতি পেলে অনাবাসী ভারতীয়দের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের অনেক সুবিধা হবে বলেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।