আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর ২৯ জুলাই: দল থেকে বহিষ্কার করলেও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান লায়লা খাতুনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধের ডাক দিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। বিন্দোল নাগরিক কমিটি নামে অরাজনৈতিক মঞ্চের ডাকা বনধের ফলে সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার বিন্দোল এলাকার সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, দোকানপাট, যানবাহন বন্ধ হয়ে পড়েছে৷ এর পাশাপাশি বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্রধান লায়লা খাতুনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ, অবস্থানে বসেছেন বিন্দোল নাগরিক কমিটির সদস্যরা। বিন্দোলের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়েও বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।তাদের দাবি অবিলম্বে প্রধানকে গ্রেপ্তার না করা হলে এই বন্ধ লাগাতার চলবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান লায়লা খাতুন বিগত এক বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের বিভিন্ন প্রকল্প সহ সাধারন মানুষের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও রাজ্য সরকারের বাংলা আবাস যোজনার লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়ো উপভোক্তাদের নামে দেখিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেছে লায়লা খাতুন। দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের বিষয় জানাজানি হতেই বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান তার পরিবারসহ এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
এর আগে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রায়গঞ্জ বিডিও অফিসে বিক্ষোভ ডেপুটেশন দেওয়ার পাশাপাশি রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিন্দোল নাগরিক কমিটি। গত ২৭ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান লায়লা খাতুনকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। পাশাপাশি দলীয়ভাবে প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু এলাকার বাসিন্দা তথা নাগরিক কমিটির দাবি জনসাধারণের উন্নয়নের বরাদ্দ সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা প্রধানকে গ্রেপ্তার করতে হবে। অবিলম্বে প্রধান লায়লা খাতুনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিন্দোল বনধের ডাক দেয় অরাজনৈতিক মঞ্চ বিন্দোল নাগরিক কমিটি। প্রশাসনকে তারা তিন দিন সময় দিয়েছেন। এরমধ্যে প্রধানকে গ্রেপ্তা না করা হলে এবারে সহিংস আন্দোলনের পথে তারা যাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তাদের ডাকা বন্ধে স্তব্ধ হয়ে যায় বিন্দোলের জনজীবন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিন্দোল এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।