ইতিমধ্যে ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার স্কুলে গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই প্রার্থীদের ২০১৯ সালের ৪ মে’র পর নিয়োগ করা হয়েছে কিনা এবং তাঁরা এখন কাজ করছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সেই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছেন বিচারপতি।
দিনকয়েক আগে গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় প্রাথমিকভাবে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পর্ষদ এবং কমিশনের হলফনামা থেকেই স্পষ্ট যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা আছে। যেহেতু দুটিই সংস্থা রাজ্যের, তাই প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআই। আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। তাতে কিছুটা স্বস্তি পায় কমিশন এবং পর্ষদ। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই অনুসন্ধানের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। তবে তথ্যপ্রমাণ যাতে কোনওভাবেই লোপাট না হতে পারে তার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার আবারও সিঙ্গল বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন। যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছিল। যদিও বিচারপতি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ৪ মে’র পর নিয়োগ করা হয়েছে কিনা এবং তাঁরা এখন কাজ করছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সেই নির্দেশ কার্যকর হবে।